কম দাম ও হিমাগারে জায়গা সংকটে বিপাকে নন্দীগ্রামের আলুচাষিরা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বাজার কম দাম ও হিমাগারে পর্যাপ্ত জায়গা সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন নন্দীগ্রামের আলুচাষিরা। ন্যায্য মূল্য না পাওয়াই দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। উপযুক্ত দামের আশায় তারা মাঠেই আলু নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় আলুর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা তিন হাজার ৫০ হেক্টর থাকলেও চাষাবাদ হয়েছে পাঁচ হাজার ৫ হেক্টর।
উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের বীরপলি গ্রামের আলুচাষি আলমগীর হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম উৎপাদন খরচের তুলনায় কম। অন্যদিকে, সংরক্ষণের জন্য হিমাগারগুলোতেও পর্যাপ্ত জায়গা নেই, যার ফলে বাধ্য হয়ে কম দামে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।
আলুচাষি মকবুল হোসেন বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে আলু উৎপাদন করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আলু তোলার আগেই হিমাগরে বুকিং দিয়েও জায়গা সংকটের কারণে আলু রাখতে পারিনি। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম কম। এই দামে আলু বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে। তাই ন্যায্যমূল্যের আশায় মাঠেই আলু নিয়ে রাত কাটাচ্ছি।
আরও পড়ুনপ্রতি বিঘা জমিতে এবার আলু চাষাবাদে খরচ হয়েছে ৫৫-৬০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ১০০-১১০ মণহারে আলুর ফলন হলেও আলুর পাইকারি বাজার মূল্য প্রত্যাশিত নয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, হিমাগারে জায়গা সংকটের কারণে কৃষকরা বাড়িতে মাঁচা করে সারা বছর আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন। এব্যাপারে আমার বিভিন্ন মিটিং ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি।
মন্তব্য করুন