ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

নাটোরের বাগাতিপাড়ার ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা ১৩৫টি দায়িত্বে

নাটোরের বাগাতিপাড়ার ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা ১৩৫টি দায়িত্বে

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৪১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি মাদ্রাসা, ৩টি কারিগরি কলেজ ও একটি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার কাগজে সই করতে হয় ইউএনওকে। দেখতে হয় তাদের ফাইলপত্রও। কোনো প্রতিষ্ঠানের মামলা থাকলে সেখানে বাড়তি সময় ব্যয় হয়।

এছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে তাকে ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি না থাকায় এভাবে অন্তত ১৩৫টি পদের দায়িত্ব সামলাতে গলদঘর্ম অবস্থা বাগাতিপাড়ার ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভার।

উপজেলা চেয়ারম্যান, দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থানীয় সভাপতি না থাকায় সকল পদের দায়িত্ব সামলাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এই ইউএনও। অর্ন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন দপ্তরের স্থায়ী কমিটির ৯টিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আর আটটিতে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কয়েকটি কমিটিতে উপদেষ্টা এবং ৮-১০টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকতেন। তবে তারা না থাকায় উপজেলা প্রশাসক হিসেবে সব কমিটির দায়িত্ব এখন ইউএনওর কাঁধে।

আরও পড়ুন

এছাড়া জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ নানা জনের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ শোনা এবং সেগুলোর সমাধানও অনেক ক্ষেত্রে তাকেই করতে হচ্ছে। জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা কমিটি থেকে শুরু করে শিক্ষা, কৃষি উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী ভাতা, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা, বয়স্ক-বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, মাতৃত্ব ভাতা, চোরাচালান প্রতিরোধ, এনজিও সমন্বয়, টেন্ডার, টিআর-কাবিটা, বিভিন্ন দিবস উদযাপনসহ উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দপ্তরগুলোর বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ইউএনও। এখন সমন্বয় সভাও পরিচালনা করতে হচ্ছে তাকেই।

জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ে একজন ইউএনও স্বাভাবিকভাবে ৪০ থেকে ৪৫টি কমিটির সভাপতি থাকেন। তবে এখন তার কাঁধে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বসহ অন্তত ১৩৫টি পদের ভার। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক জানান, তাদের কাছে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসতেন বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে। এখন উপজেলা চেয়ারম্যান না থাকায় সব কাজের চাপ পড়েছে ইউএনও’র ওপর। একা এতো দায়িত্ব সামলানো সত্যিই খুব কঠিন। তারপরও তিনি যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন সেটা প্রশংসার দাবিদার।

ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, একা এতোগুলো দায়িত্ব পালন করা কষ্টকর হলেও তা পালন করতে হবে। কাজ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। সেজন্য অতিরিক্ত সময় দিয়ে হলেও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। কাজের চাপ থাকলেও কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, অফিসের কর্মীদের নিয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করছি আমরা। দূর-দূরান্তের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন উপজেলা পরিষদে এসে যেন ভোগান্তিতে না পড়েন, সেজন্য স্টাফসহ আমরা সবাই সেদিকেও নজর রাখছি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ রাতেই আওয়ামী লীগের বিষয়ে ফায়সালা: নাহিদ ইসলাম

 ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

বগুড়ার শেরপুরে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার তিনজন গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে টাক্টর-ট্রলির সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত  

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বোরো ধান কাটা শুরু ব্যস্ততা বেড়েছে গৃহিণীদের

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আইনজীবীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার