বগুড়ার ধুনটে যমুনার চরাঞ্চলের কৃষকদের বাদাম চাষে দ্বিগুণ লাভের স্বপ্ন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ধুনটের যমুনার বুকে জেগে উঠা বিস্তীর্ণ চরে বাদাম চাষ করেন স্থানীয় কৃষকরা। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, পানি শুকিয়ে যমুনার বুকে জেগে উঠেছে ছোট-বড় বালুচর। আর জেগে উঠা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের ধু-ধু বালুচরে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি প্রস্তুত ও বাদামের বীজ বপনে ব্যস্ত চরাঞ্চলের কৃষকেরা।
চরাঞ্চলের বেলে মাটি বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর চরাঞ্চলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাদামের আবাদ। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদাম চাষিদের বীজ, সারসহ দেয়া হচ্ছে সবধরণের সহযোগিতা।
গত বছর বাদামের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবং স্থানীয় হাট-বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। চলতি বছরে যমুনার চরাঞ্চলের ৭৫ হেক্টর জমিতে বারি চিনা-৮, বারি চিনা-৯, বিনা-৪ ও স্থানীয় জাতের বাদাম চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাদামের বাম্পার ফলনসহ দ্বিগুণ লাভবান হবে বলে মনে করছেন চরাঞ্চলের বাদাম চাষিরা।
বাদাম চাষিরা জানান, প্রতি বছর বন্যায় তাদের অনেক ক্ষতি হয়। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বন্যা পরবর্তী সময়ে জেগে ওঠা চরে বাদাম চাষ করেন। অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন একটা সার ও কীটনাশক দিতে হয় না। শুধু সময়মতো বীজ বুনে বাদাম ঘরে তোলার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়।
আরও পড়ুনবীজ রোপণে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা যায়। অল্পদিনে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। সুস্বাদু ও মুখরোচক বাদাম যেমন খাদ্য হিসেবে জোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচিপাতা কেটে কৃষকেরা গরু-ছাগলকে খাওয়ান। এতে গরু-ছাগল স্বাস্থ্যবান হয় বলে জানান কৃষকেরা।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছামিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি কৃষি প্রণোদনার আওতায় চরাঞ্চলের ৮০ জন বাদাম চাষির মধ্যে বিনা মূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। বাদামের ফলন ভালো করার জন্য আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন