ভিডিও শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

সিরিয়ার বিজয়ী বিদ্রোহীদের যে আহ্বান জানাল যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ার বিজয়ী বিদ্রোহীদের যে আহ্বান জানাল যুক্তরাষ্ট্র, ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার বিদ্রোহী জোটের নেতৃত্ব দেওয়া গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বাইডেন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা ও মার্কিন কংগ্রেসের এক সহযোগী। এ সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া পরিচালনার মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে এইচটিএসের যোগাযোগ হয়। এইচটিএস সরাসরি দেশটির নেতৃত্ব গ্রহণ না করে তার বদলে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া পরিচালনার মাধ্যমে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন জানান, এই যোগাযোগের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের টিমকেও সবকিছু জানাচ্ছে।

তিনি জানান, গোষ্ঠীটিকে সিরিয়ার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক প্রচেষ্টায় পথ দেখিয়ে সহায়তা করার বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এসব বার্তা সরাসরি দেওয়া হয়েছে না মধ্যবর্তী কারও মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে তা জানাতে রাজি হননি তিনি।এই কর্মকর্তা জানান, আন্তর্র্বতী সরকারকে সিরিয়ার জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করা উচিত বলে ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে এবং আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নতুন নেতা বেছে নেওয়া ছাড়াই এইচটিএসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়াকে সমর্থন করবে না।এর আগে গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ওয়াশিংটন সিরিয়ার সেই ভবিষ্যৎ সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যারা বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অসাম্প্রদায়িক শাসক হবে।

এইচটিএসের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা রোববার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখল করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের দীর্ঘদিনের শাসনের অবসান ঘটায়। ২০১৩ সালে এই এইচটিএস গোষ্ঠীটি আগে আল কায়েদার সঙ্গে জোটবদ্ধ ছিল আর একে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিয়ে রেখেছে। সেসময় এইচটিএসের নেতা আহমেদ আল-শারাকে (আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামেই বেশি পরিচিত) সন্ত্রাসীর তকমা দেয়।

আরও পড়ুন

তারা বলেছিল, ইরাকের আল কায়েদা আসাদকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের জন্য শারাকে দায়িত্ব দিয়ে সিরিয়ায় ইসলামিক শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে বলেছিল। এইচটিএসের পূর্বসূরী নুসরা ফ্রন্ট সিরিয়াজুড়ে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের হত্যা করেছিল এবং সহিংস সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করতো। 

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি বিমান বাংলাদেশের সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইটের ১৫৪ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ

নির্ধারিত সময়ের ১ মিনিট আগেও দপ্তর ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা

প্রশাসনিক ব্যর্থতাই QS র‍্যাংকিংয়ে নেই জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

নাটোরের বড়াইগ্রামে স্কুলছাত্রকে হত্যা

১৫তম সোশ্যাল বিজনেস ডে-তে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস