ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সোয়া লাখ টন

বগুড়ার শাজাহানপুরে আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

বগুড়ার শাজাহানপুরে আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

শাজহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : ভালো মানের বীজের সংকটসহ নানা প্রতিকূলতা সত্বেও আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কৃষকরা। আমন ধান কাটতে না কাটতেই আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুত ও আলু বীজ রোপণ শুরু হয়েছে। এবছর উপজেলায় ৫ হাজার ৬৪৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হবে। ইতোমধ্যে ৫শ’ হেক্টর জমিতে আলু বীজ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিকটন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, শাজাহানপুর উপজেলায় আলু বীজের চাহিদা ৬ হাজার ৮৭৮ মেট্রিকটন। এর মধ্যে কৃষকের বাড়িতে সংরক্ষিত বীজ দিয়ে চাহিদা মিটে শতকরা ১০ ভাগ। বিএডিসি বীজ বিভাগ থেকে চাহিদা মিটে ২০ ভাগ। বাকি বীজের জন্য কৃষককে নির্ভর করতে হয় বিভিণ্ন বেসরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর।

এ সুযোগে কৃষকের পকেট কাটতে বীজ ডিলারগণ সিন্ডিকেট করে চড়া দামে বীজ আলু বিক্রি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ আলু চাষিরা উপজেলার নয়মাইল এলাকায় মানববন্ধনও করেছেন। একই রকম সুযোগ নিচ্ছেন এক শ্রেণির সার বিক্রেতাগণ। তারা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।

আশেকপুর ইউনিয়নের জোড়া ফকিরপাড়া গ্রামের আলু চাষি জহুরুল ইসলাম বলেন, তার নিজস্ব কোন জমি নেই। অন্যের জমি পত্তন নিয়ে তিনি গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন। কিন্তু বীজ নিম্নমানের হওয়ায় ভালো ফলন পাননি। তা সত্বেও খরচ বাদে তার লক্ষাধিক টাকা আয় হয়। এ বছর তিনি ভালো মানের বীজ সংগ্রহ করেছেন।

আরও পড়ুন

এবার তিনি ৬ বিঘা জমি আলু চাষের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তার অভিযোগ টিএসপি সার প্রতি বস্তার সরকারি মূল্য এক হাজার ৩৫০ টাকা হলেও শাবরুল বাজারে প্রতি বস্তা টিএসপি সারের দাম নেওয়া হচ্ছে এক হাজার ৭শ’ টাকা।

অপর আলু চাষি বিরাহিমপুর গ্রামের হেলাল মিয়া বলেন, তিনি গত বছর দেড়বিঘা জমিতে আলু চাষ করে প্রতি বিঘায় ১শ’ মণ ফলন পেয়েছিলেন। আলুর বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় তিনি বেশ লাভবান হন। এবছর তিনি আড়াই বিঘা জমিতে আলু চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বীজ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমি রোপণে শ্রমিক মজুরি বাবদ তার খরচ হয়েছে তিন হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, এবছর আলু চাষের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে আলু ফসলের সচরাচর কাটুই পোকা, নাবী ধ্বসা ও ঢলে পড়া রোগ হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে কৃষককে সতর্ক থাকতে হবে। এসব রোগের লক্ষণ দেখা মাত্রই কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় রোনালদোরা

রেকর্ড গড়ে আইপিএলে হ্যাট্রিক উইকেট শিকার চাহালের 

ক্রিকেট দলের নির্বাচক প্যানেলে হান্নান সরকারের স্থলাভিষিক্ত কে?

২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়সূচি ও সাত ভেন্যুর নাম ঘোষণা

কিশোরগঞ্জের পনির ও রাতাবোরো ধান পেলো জিআই স্বীকৃতি

নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল