ভিডিও সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের নারীদের সংলাপ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান : নারীরা কোথায় গেলো?

সংগৃহীত,জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান : নারীরা কোথায় গেলো?

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশের সর্বস্তরের নারীদের অভূতপূর্ব উপস্থিতি ছিলো। নারীরা এ সময় যেমন রাজপথের লড়াইয়ে সক্রিয় থেকেছেন, তেমনি সোচ্চার থেকেছেন অনলাইনে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা যেমন এ আন্দোলনের সম্মুখভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি শিক্ষার্থী-জনতার দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ঘরে-বাইরে-প্রবাসে নারীরা প্রকাশ্য রাজপথে ও অনলাইনে সোচ্চার থেকেছেন। অন্যদিকে, সন্তানের পাশে মায়েরা রাজপথে যেমন স্লোগানে-মিছিলে থেকেছেন, তেমনি কোনো কোনো নারী আবার খাবার, আশ্রয়, চিকিৎসা, সাহস, অর্থ সাহায্য দিয়ে পাশে থেকেছেন। শহর থেকে গ্রাম, দেশ থেকে বিদেশে ধনী থেকে দরিদ্র, নানান ধর্মের, নানান জাতিসত্ত্বার, সর্বস্তরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা, পরিচয়ের নারীরা গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সমাজের অন্য সবার মতোই নারীদের এই সাহসী, নির্ভীক ভূমিকা ছাড়া ১৬ বছরের স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব ছিলো না। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও নারীরা প্রকাশ্যে এবং নিভৃতে অবদান রেখে যাচ্ছেন।

আমরা যারা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি, তারা মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা থেকে লক্ষ্য করেছি এই স্বেচ্ছাসেবকদের অধিকাংশই নারী। এমনকি দেশ ও বিদেশ থেকে যারা আহতদের সহায়তায় অর্থ সাহায্য পাঠাচ্ছেন, তাদেরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী।

অথচ, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে অসীম সাহসিকতার ভূমিকা রাখা সর্বস্তরের নারীদের প্রতিনিধিত্ব আমরা রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে দেখতে পাচ্ছি না। যেন তারা হঠাৎ কোথাও উধাও হয়ে গেছেন। গণঅভ্যুত্থানের মূল স্পিরিট ছিলো, বৈষম্যমুক্ত সর্বজনের অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা। জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি নারীদের বাদ দিয়ে যা কখনোই সম্ভব না। অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।

আরও পড়ুন

ফলে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ হতে না দেওয়ার দায়বোধ থেকে আমরা দুটি স্বেচ্ছাসেবক দল- লড়াকু ২৪ এবং Empowering our Fighters গণঅভ্যুত্থানের নারীদের এই সংলাপ আয়োজন করেছি। নানান পর্যায়ের নারীদের গণঅভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থান পরবর্তী অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে নিজেদের নায্য হিস্যা বুঝে নেওয়ার সংকল্প থেকেই মূলত এই আয়োজন। রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা না গেলে জনগণের বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা ইতিহাসের অনান্য আন্দোলনের মতো আবারও বেহাত হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার সোনাতলায় হাট-বাজারে প্রচুর আমন ধানের চারার আমদানি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

বগুড়ায় ১৯ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিলেন পুলিশ সুপার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষক হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার

জবি রেঞ্জার ইউনিটের দীক্ষা দান ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত