আ’লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে আসিফ
ডেমোক্রেসির কথা বলে বিদেশের দূতাবাসগুলো চাপ প্রয়োগ করছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, দেশে এখনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সম্পূর্ণরূপে সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বললে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অনীহা প্রকাশ করে, যা গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে ডেমোক্রেসির কথা বলে বিদেশের দূতাবাসগুলো চাপ প্রয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে আয়োজিত ‘নবীন চোখে গণঅভ্যুত্থান ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাবি শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের গণঅভ্যুত্থান আংশিক সফল হয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ দাবি করেছিলাম। তবে, এখনো ফ্যাসিবাদ পুরোপুরি বিলোপ হয়নি। দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের অজুহাতে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।তিনি আরও বলেন, সরকার যখন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কথা বলে, তখন রাজনৈতিক দলগুলো বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোও চাপ সৃষ্টি করছে। এমনকি জার্মান একজন সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করলে তা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হবে কিনা। আমি বলেছিলাম, ১৯৪৫ সালে আপনারাই ফ্যাসিস্ট নাৎসি বাহিনীকে নিষিদ্ধ করেছিলেন, যা এখনো কার্যকর। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত প্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুনআলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশেদুল আলম, বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা লাকি, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল এলাহি এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দীন রুনু।
মন্তব্য করুন