ভিডিও মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

ভোটে পরাজয় মেনে ট্রাম্পকে অভিনন্দন কমলার

ভোটে পরাজয় মেনে ট্রাম্পকে অভিনন্দন কমলার, ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরাজয় স্বীকার করে নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। নির্বাচনে হারার পর স্থানীয় সময় বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রথম জনসমক্ষে কথা বলেন কমলা। এসময় সমর্থকদের হতাশ না হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। খবর : রয়টার্স 

ওয়াশিংটনের ঐতিহাসিক কৃষ্ণাঙ্গ কলেজ আলমা মাদার হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত সমর্থকদের কমলা বলেন, ‘ভোটে পরাজয় মেনে নিচ্ছি। তবে লড়াই ছাড়ছি না।’ তিনি নারীর অধিকার ও বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এবং ‘সকল মানুষের প্রাপ্য মর্যাদার জন্য লড়াই করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রাম্পকে ফোন করে মঙ্গলবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন কমলা। তিনি বলছিলেন, ‘এই নির্বাচনের ফলাফল আমরা যেমনটি চেয়েছিলাম তেমন নয়, আমরা যা চেয়েছিলাম তা নয়, আমরা যেটির জন্য ভোট দিয়েছি সেটি নয়। তবে আমি বলছি শুনুন, আমার কথা শুনুন: আমেরিকার প্রতিশ্রুতির আলো সর্বদা জ্বলবে।’

হ্যারিস বুধবার জনসমক্ষে কথা বলেন। সেই সমাবেশে সাবেক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হোয়াইট হাউসের সহকারী ও হাজার হাজার ডেমোক্র্যাট ভক্ত ছিলেন। কমলা মঞ্চে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে তখন তার প্রচারাভিযানের গান বেয়ন্সের ‘ফ্রিডম’ বাজানো হয়েছিল। এসময় নির্বাচনি দৌঁড়ে তার সঙ্গী মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজও ছিলেন। সমর্থকদের, বিশেষ করে তরুণদের উদ্দেশে কমলা বলেন, ‘কখনও কখনও লড়াই কিছুটা সময় নেয়। এর অর্থ এই নয় যে, আমরা জিতব না।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানি, অনেকেরই মনে হচ্ছে আমরা অন্ধকার সময়ে প্রবেশ করছি। আমি আশা করি এমনটি হবে না। তবে যদি তা হয়, আসুন আমরা আকাশকে আলো দিয়ে পূর্ণ করি কোটি কোটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলো আশাবাদ, বিশ্বাস, সত্য ও সেবার আলো দিয়ে।’

আরও পড়ুন

মঙ্গলবার রাতে হাজার হাজার মার্কিনি আশা করছিলো, দেশটিতে নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলার একটি ঐতিহাসিক বিজয় হবে। তবে পরাজয়ের পর তারা কমলার প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে বুধবার আবারও জড়ো হন। ৩১ বছর বয়সী জামেলা জোসে হাওয়ার্ডের একজন ডক্টরাল ছাত্র। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা একটি প্রগতিশীল ও ইচ্ছাকৃতভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল এবং একটি জাতি হিসেবে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য বর্ণবাদকে সমুন্নত রাখার উত্তরাধিকার, নারীদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে এটি তার ইতিহাসের যে পুনরাবৃত্তি করতে চলেছে তা দেখিয়েছে।’ ৭২ বছর বয়সী ডোনা ব্রুস বলেছিলেন, তিনি হ্যারিসের প্রতি তার ভালবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতে এসেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এইমাত্র একটি ছোট মেয়েকে তিনি দেখেছেন যার টি-শার্টে লিখা ছিল, ‘একটি কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে পৃথিবীকে বাঁচাবে।’ ডোনা বলছিলেন, এই কথাটি ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি। সেই কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েটি এই (কমলা) মেয়ে নাও হতে পারে, তবে আমি বিশ্বাস করি, সেই মেয়েটি একটি কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েই হবে।’

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অর্থের অভাবে যেন থেমে না যায় স্বপ্ন—শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রদল নেতা রবিউল আউয়াল

জবিতে বাজেট ও আবাসন ভাতার দাবিতে শিক্ষার্থীদের গেটলক কর্মসূচি

সাবেক এমপি মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার

বগুড়ার সোনাতলায় শতাধিক নলকূপ বিকল মেরামতের উদ্যোগ নেই

দিনাজপুরের বিরলে বন খেজুর গাছের সন্ধান

বগুড়ার ধুনট থানায় অভিযোগ দিতে এসে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার