অভি মঈনুদ্দীন: অভিনয়ের প্রতি একজন শিল্পীর কতোটা একাগ্রতা, ভালোবাসা, অধ্যবসায় থাকলে তার জনপ্রিয়তা টানা দেড় যুগ অথর্ধাৎ ১৮ বছর প্রায় সমানই থাকে তারই প্রমাণ যেন নন্দিত জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।
২০০৬ সালে গাজী রাকায়েতের নির্দেশনায় ধারাবাহিক নাটক ‘বিয়ের গল্প’তে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে অভিনেতা অপূর্ব’র যাত্রা শুরু হয়েছিলো। সেই থেকে যেন দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। নাটকে এখনো এই সময়ের শীর্ষ অভিনেতা বা জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। শুধু দেশেই যে তার এই জনপ্রিয়তা বিদ্যমান দেশের বাইরেও সমান জনপ্রিয় অপূর্ব। যেখানে কলকাতার দর্শক তাদের চ্যানেলে সিরিয়াল দেখে বিরক্ত, সেখানে অপূর্ব অভিনীত নাটক তারা ইউটিউবে আগ্রহ নিয়ে দেখেন। অপূর্ব অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিয়ে মনে প্রাণে কাজ করে গেছেন। যার ফলশ্রুতিতে অভিনয়ের দুনিয়ায় তার আজকের এই অবস্থান।
বলা যায় টিভি নাটকে শীর্ষ অভিনেতা হিসেবে অপূর্ব বিগত দেড় যুগ ধরে রাজত্বই করেছেন। পরবর্তীতে ওটিটি প্লাটফরমেও অপূর্ব অভিনীথ কন্টেন্ট দর্শককে মুগ্ধ করেছে। অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে নিজেকে প্রযোজনানুযায়ী যেভাবে বদলানো দরকার অপূর্ব ঠিক সেভাবেই নিজেকে বদলে নিয়ে কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে শ্রম ও মেধা দিয়ে।
নিজের অভিনয় পেশার এমন সাফল্যে এবং পথচলার দেড় যুগ প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন,‘ মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি কারণ তিনি আমাকে সুন্দর একটি জীবন দিয়েছেন, আমার বাবা মায়ের কারণে এই পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে পেরেছি। আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি আমার প্রথম বিজ্ঞাপনের নির্মাতা অমিতাভ ভাই, প্রথম নাটকের নির্মাতা রাকায়েত ভাই’সহ নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিহাব শাহীন’সহ বিভিন্ন সময়ে আরো যারা আমাকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করেছেন তাদের প্রতি। একটা সময় তরুণ অনেক নির্মাতাই আমাকে নিয়ে একের পর এক নাটক নির্মাণ করেছেন, তারা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছেন, আমি তাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে পাশে থেকেছি, আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ আমার অনেক নাটকের সহশিল্পীর প্রতি। তাদের প্রত্যেকের কাছে আসলে আমি ঋণী, বিশেষত আমার সিনিয়র কয়েকজন শিল্পীর প্রতি। প্রত্যেকটি কাজের প্রযোজক, মেকাপ আর্টিস্ট, ক্যামেরাম্যান, সিনিয়ার জুনিয়র সহশিল্পী, আমার শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ভাই বোন, আমার পরিবার’সহ সবার কাছেই কৃতজ্ঞ। আমি নিশ্চয়ই কৃতজ্ঞ যারা আমাকে ভেবে গল্প লিখেছেন সেসব নাট্যকারদের প্রতি। সর্বোপরি কৃতজ্ঞ আমার ভক্ত দর্শকের কাছে। আসলে দেড় যুগের এই পথচলায় অনেকের প্রতিই হয়তো কৃতজ্ঞতা বলে শেষ করা যাবেনা। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।’
২০০৪ সালে ‘ইউ গট দ্য লুক’ প্রতিযোগিতায় অপূর্ব বেস্ট হেয়ার হয়েছিলেন। অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় তিনি প্রথম নেসক্যাফের বিজ্ঞাপনে মডেল হন। তার অভিনীত প্রচারিত প্রথম খণ্ড নাটক চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘কথা ছিলো অন্যরকম’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন তারিন। চয়নিকা চৌধুরীর নির্দেশনায় তিনি সর্বাধিক ১৬১টি নাটক টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। অপূর্ব অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’। সাম্প্রতিক কালে শিহাব শাহীন পরিচালিত হৈচৈ’তে প্রকাশিত ‘গোলাম মামুন’ ওয়েব সিরিজ-এ নাম ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন অপূর্ব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।