বগুড়া ফতেহ আলী ব্রিজের পূর্বপাশ সড়ক নয় যেন অটোরিকশা স্ট্যান্ড, দুর্ভোগে ১০ লক্ষাধিক মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার : করতোয়া নদী পেরিয়ে পূর্ব বগুড়ার মানুষের মূল শহরে প্রবেশের অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম ফতেহ আলী ব্রিজ। গত কয়েক বছর ধরে চলা এই নির্মাণ কাজ যেন আর শেষ হওয়ার নয়।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে নির্মাণ কাজ চলাবস্থায় চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি হেঁটে চলাচলের জন্য ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয়।
তার কিছুদিন পর থেকেই মোটরসাইকেলসহ দু’একটি অটোরিকশা সীমিত পরিসরে চলাচল করছে। ব্রিজটির দু’পাশে এখনও এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। কাজ চললেও তাও চলছে খুবই ধীর গতিতে। এদিকে ব্রিজটির উভয়মুখের রাস্তা দখল করে যেসব ব্যবসায়ী স্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন তারাও নির্বিঘ্নে তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন আরও বিস্তৃত পরিসরে। মাঝে মাঝে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালালেও আবারও হয়েছে দখল।
তার চেয়ে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রিজটির পূর্বপাশে নির্মিতব্য এ্যাপ্রোচ সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা অটেরিকশা স্ট্যান্ড। ব্রিজে ওঠার এ্যাপ্রোচ সড়কটিতে এমনভাবে অটোরিকশা স্ট্যাড করে রাখা হয়, দেখলে মনেই হবে না এটি সড়ক। যে কেউ দেখলেই মনে করবে এটি অটোরিকশা স্ট্যান্ড। মানুষের হেঁটে চলাচল করাও এখানে বেশ কষ্টকর।
চালকদের বেপরোয়া গাড়ি রাখা ও স্ট্যান্ড করা এখানকার নিয়মিত এবং স্বাভাবিক ঘটনা। তারা এটিকে সড়ক-ই মনে করেন না। কারণ, সড়ক দখল করে অটোরিকশা রাখার জন্য তারা প্রতিদিন চাঁদা দেন। আরো আছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম। এখান থেকে সারিয়াকান্দি ও চন্দনবাইশা রোডে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ চার্জার অটোরিকশা চলাচল করে, যার সবগুলোই স্ট্যান্ড করে থাকে ব্রিজরে পূর্বপাশের এ্যাপ্রোচ সড়ক দখল করে।
আরও পড়ুনসারিয়াকান্দি ও চন্দনবাইশা রোডের প্রায় কোয়াটার কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ এসব যানবাহনের অবৈধ দখলে রয়েছে বছরের পর বছর। এই দুই রোডে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে প্রায় দেড় হাজারের মতো। নিয়মিত চাঁদা ওঠে এসব পরিবহন থেকেও।
নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালক জানান, মাসে কয়েক লাখ টাকার অবৈধ চাঁদা তোলা হয় এই এলাকা থেকে। প্রশাসনের নাকের ডগারও ওপর এসব হলেও স্থানীয় প্রভাবশালী সাবেক জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা এসব ম্যানেজ করছেন বলে অভিযোগ চালকদের।
চাঁদা পরিশোধ করলে সড়ক দখল করে নির্বিঘ্নে গাড়ি পার্কিংসহ বেপরোয়াভাবে যাত্রী ওঠানামা করা যায়। এখানে প্রশাসনের কোন নিময়নীতি চলে না, বছরের পর বছর এই রোডে ও ব্রিজের উভয়পাশে এমন অনিয়মন চললেও নির্বিকার প্রশাসন।
মন্তব্য করুন