ভিডিও শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫

নওগাঁ ও পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে  ১৭ জনকে পুশ ইন

ছবি : সংগৃহীত,নওগাঁ ও পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে  ১৭ জনকে পুশ ইন

নওগাঁ ও তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটের আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত দিয়ে ১০ জন এবং পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর সীমান্ত দিয়ে সাতজনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার ভোরে নওগাঁর ধামইরহাটের আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস এর কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ওই ১০ জনকে পুশইন করলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন। অপরদিকে একই দিন সকাল পৌনে ৭টার দিকে পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন (১৮ বিজিবি) ভজনপুর বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ৪২৮ দিয়ে সাতজনকে পুশইন করা হয়। পরে ভজনপুর বিওপি’র এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে করতোয়া নদীর ব্রিজের নিচ থেকে ওই সাতজনকে আটক করা হয়।  

নওগাঁর ধামইরহাটের আটকদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও আটজন নারী রয়েছেন। তারা হলেন-আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬) এবং সুমন হোসেন (২৭)। 

পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপি’র টহলদল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুর থেকে বাংলাদেশী ১০ জনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, তারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে মুম্বাই শহরে দুইজন (পুরুষ) রাজমিস্ত্রী এবং আটজন মহিলা বাসাবাড়িতে কাজ করার জন্য যান। পরবর্তীতে তাদেরকে ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে বিএসএফ কর্তৃক গতকাল ভোরে বাংলাদেশে পুশইন করলে বিজিবি টহলদল তাদের আটক করে। 

অপরদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর সীমান্ত দিয়ে সাতজনকে পুশইন করা সবাই পুরুষ। আটকৃতরা হলেন-ফরিদপুরের শালতনা থানার খরেরকান্দি গ্রামের শাহাজান মোল্লার ছেলে  জুনাইদ হোসেন (৩০), নগরকান্দি থানার দেলবাড়িয়া গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (৪৫), মদ্যকিঞ্চাহল গ্রামের আইয়ুব মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া (৩৮), কোদালিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪৬), ভাবদা থানার শুকনী গ্রামের হারুন সরদারের ছেলে সাইফুল সর্দার (৩৪), সিলেটের কানাইঘাট থানার বাটিবারাপইত গ্রামের ফোয়াজ উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩০) এবং হবিগঞ্জের আজমীরগঞ্জ থানার শিবপাশা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে ফয়সাল আলিম (২৬)। 

বিজিবি ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃতরা জানান, দীর্ঘদিন ভারতের অভ্যন্ত অবৈধভাবে অবস্থান করে তারা কাজ করে আসছিলেন। গত ৩ জুন ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে উড়িষ্যা থেকে আটক করে বিমানযোগে তাদেরসহ প্রায় ২শ’ জনকে বাঘডোগরা শিলিগুড়ি বিমান বন্দরে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশ ইন করে। এসময় ভজনপুর বিজিবি টহলদল তাদের আটক তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। 

আরও পড়ুন

পঞ্চগড়  ব্যাটালিয়ন (১৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকরা অবৈধপথে ভারতে ঢুকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন। বিএসএফ তাদের পুশ ইন করায় আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। 

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় এসে স্বামীর আত্মসমর্পণ

২০ শতাংশ শুল্ক সরকারের আরেকটি সফলতা : আসিফ নজরুল

ভারত বন্ধু, তবে শতভাগ মিত্র নয় : রুবিও

ভারতে সফরে আসছেন মেসি, কোহলি-ধোনিদের সঙ্গে খেলবেন ক্রিকেট!

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে: আইএসপিআর

তানিয়া নাজনীন একজন  টেকসই ফ্যাশন উদ্যোক্তা