বন্ধকী জমিতে নার্সারি ব্যবসায় মাসিক আয় দুই লাখ টাকা

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : সাংসারিক সচ্ছলতার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন ইট পাথরের শহর ঢাকাতে। কংক্রিটে ঘেরা ঢাকা শহর থেকে ফিরে জন্মভূমি নিজ গ্রামে ফিরে এসে শুরু করেন নার্সারি চাষ। যা পরবর্তীতে সফলতার মুখ দেখেন। কথা গুলো বলছি বেকারত্বের কাছে হার না মানা খাদিজা নার্সারির স্বত্বাধিকারী মো: আমজাদ হোসেনের। আমজাদ হোসেনের গ্রামের বাসা নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের কেয়ার বাজার (ইসলমী মিশন সংলগ্ন) এলাকায়।

তিনি ২০২২ সালে গোলমুন্ডা ঘাটেরপার নামক স্থানে মাত্র ২ বিঘা জমি বন্ধক নিয়ে শুরু করেন নার্সারি। ধীরে ধীরে নার্সারি ব্যবসায় সফল হতে শুরু করেন। বড় ছেলে খলিলুল্লাহকে সাথে নিয়ে বর্তমানে ৫ বিঘা জমির ওপর করেছেন এই নার্সারি। নিজের জমি না থাকা সত্ত্বেও বন্দকী জমিতে গড়েছেন এই নার্সারি। বর্তমানে নার্সারিতে উন্নত জাতের ফল, ফুল ও ঔষধি নিজ জেলার বাহিরেও বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া আরও তাদের নার্সারিতে শোভা পাচ্ছে বিদেশি জাতের আম, মাল্টা, লেবু, জাম্বুরা, আনারস, ফুলসহ ১০০ প্রকার নানা জাতের চারা। নার্সারিটি দেখতেও অনেক সুন্দর তাই প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থীও আসেন দেখতে।

সরেজমিনে নার্সারির মালিক আমজাদ হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, তার এই নার্সারিতে উন্নত জাতের ফল ও ফুলের চারা বিক্রি করেন এবং পাশাপাশি অন-লাইনের মাধ্যমেও বিক্রি করেন। সবমিলে প্রতিমাসে ২ লাখ টাকার চারা বিক্রি হচ্ছে। নার্সারিতে প্রতিদিন ২০-২৫ জন লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এমনকি এই নার্সারি হওয়ার ফলে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নার্সারিটির মালিক আমজাদ হোসেনের ছেলে খলিলুল্লাহ জানিয়েছেন পাঁচ বিঘা জমির জন্য প্রতি মাসে জমির মালিককে দিতে হয় ৫০ হাজার টাকা।

সামাজিক মাধ্যমে স্পর্শিয়ার ছড়িয়ে পড়া ছবি নিয়ে যা জানা গেল

রাঙামাটিতে পুকুরের পাশ থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে শ্বশুরবাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জামাইয়ের মৃত্যু 

সব খরচ বাদ দিয়ে যা অবশিষ্ট থাকে সেটা নিয়ে নার্সারির পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নার্সারিতে কথা হয় নারী শ্রমিক কল্পনা বালার সাথে, তিনি সকাল ৮ টায় এই নার্সারিতে আসেন এবং সারাদিন কাজ শেষে বিকাল ৫ টায় বাড়ি ফেরেন। নার্সারির শ্রমিক বিবেক লালের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নার্সারিটিতে কাজের পাশাপাশি এখান থেকে ঘাস সংগ্রহ করেন তিনি, কাজের পাশাপাশি গরুর খাবারের চাহিদাটাও এখান থেকে যোগাড় হয়ে যায়।

জলঢাকা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো: খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, সফল ঐ নার্সারিটি আমাদের তালিকায় রয়েছে। আমরা মাঝে মাঝে নার্সারি মালিকদের ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সেমিনারের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়ে থাকি। ভালো নার্সারি হিসেবে খাদিজা নার্সারিটি সফলতা লাভ করেছে।