চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে পণ্য পরিবহন বন্ধের হুমকি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদে পণ্য পরিবহন ট্রাক হতে অবৈধভাবে বিপুল অংকের চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ এবং জেলা ট্রাক,ট্যাঙ্কলরি ও  কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের  ট্রাক মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ট্রাক মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন, অবিলম্বে যদি বন্দরে চাঁদাবাজি বন্ধ করা না হয় তবে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হবে।

তারা বলেন, আজ শুক্রবার (২০ জুন) থেকেই পণ্য পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল। তবে প্রশাসন,রাজনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনায় সমস্যার সমাধান করা হবে মর্মে আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সে সিদ্ধান্ত আপাতত: স্থগিত করা হয়েছে। সম্মেলনে বন্দরে পরিবহণ ব্যবসা নির্বিঘ্ন করতে কিছু দাবি জানানো হয় এবং প্রস্তাব তোলা হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ট্রাক মালিক গ্রুপ সভাপতি শহিদ আহম্মেদ। তিনি বলেন, বন্দরে দালালির নামে ট্রাক প্রতি ২ থেকে ১০ হাজার এবং বকশিশের নামে ৬শ’ থেকে ২ হাজার ৬ শ’ টাকা পর্যন্ত চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। তাতে ট্রাক মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিগত সরকারের দোসররাসহ বিভিন্ন মহল এর সাথে জড়িত। তিনি সাম্প্রতিককালে কাজ শুরু করা আনরেজিস্ট্রার্ড সোনামসজিদের স্থানীয় একটি ট্রাক মালিক সমিতিকেও এজন্য দায়ী করেন। জেলা ট্রাক মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এমনকি সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপকেও চাঁদাবাজির সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন।

ধামরাইয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

গর্ভাবস্থায় গর্ভের পানি বেড়ে গেলে যেসব সমস্যা হয়

গোডাউন থেকে গায়েব ১৭ হাজারের বেশি বই

অভিযোগের ব্যাপারে সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপ সভাপতি একরামুল হক বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপ কোনরকম চাঁদবাজিতে জড়িত না। তিনি অভিযোগের প্রমাণ করার দাবি জানান। বলেন, বন্দরে অভিযোগকারীরা ছাড়াও আরও বিভিন্ন মালিকের ট্রাক চলে।

সোনামসজিদ ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর  উল্টো অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ট্রাক থেকে টাকা নেয়ার এবং পরিবহনে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সাল থেকে তাদের সমিতি কাজ করছে।

সম্মেলনে বক্তব্য দেন- জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাতিন,জেলা ট্রাক,ট্যাঙ্কলরি ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম আনারসহ  সংশ্লিষ্টরা।