নদীর বুকে ধানের চাষাবাদ

সিলেট প্রতিনিধি : নদীর চিরন্তর রূপ কুলকুল জলধারা কিন্তু তা না হয়ে যখন জলহীন নদীর বুক দখল করে চাষ হয় ফসল, নদী দেখে বোঝার উপায় নেই এটা নদী না ফসলের মাঠ। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাধীন দক্ষিণ বংশীকুন্ডায় ঘাসি নদীতে এখন ধান চাষ হচ্ছে। নদীটির একাংশ ভরাট হয়ে বোরো ধান চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায় দুই শতাধিক একর জায়গায় বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় ওই নদী দিয়ে বড় বড় লঞ্চ-জাহাজ নিয়মিত চলাচল করত। কিন্তু প্রতি বছর পাহাড়ি ঢল এসে নদীর গভীর ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন বোরো ধানের জমিতে রূপ নিয়েছে। নদী তীরবর্তী বংশীকুন্ডা গ্রাম-হামিদপুর, জয়পুরসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপণ করেছেন। ওই নদীতে প্রায় দুই শতাধিক একর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।
হাওর বেষ্টিত ওই এলাকায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নদীপথ। যদি বংশীকুন্ডা বাজার হতে হামিদপুর ব্রিজ ভায়া পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার জেলার কলমাকান্দা উপজেলাধীন বিশরপাশা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার নদীপথ খনন করলে বাজারের মালামাল পরিবহনসহ এলাকাবাসীর অল্প সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানো সহজ হবে।