রংপুর প্রতিনিধি: ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় চক্রের এক নারী সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩ রংপুর ক্যাম্পের সমদস্যরা। এসময় অপহৃত খুলনার নার্সারি ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম ও মারুফ হোসেনকে উদ্ধার করে। এসময় জব্দ করা হয় একটি মাইক্রোবাস, একটি দেশীয় পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও তিনটি তড়োয়ার। আজ রোববার বিকেলে ব্যাবের মিডিয়া অফিসার ও র্যাব-১৩ সহকারী পরিচালক ও সিনিয়র খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা স্বাক্ষরিত সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খুলনা খালিশপুর গোয়ালখালী নার্সারি ব্যবসায়ী খন্দকার শাহাবুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনের কাছে চারা কিনতে যায় রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ফুলবাড়ীর চওড়া গ্রামের শাকিবুল ও সাহাবুদ্দিন। তাদের চারা দেখে পছন্দ হলে শাহাবুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনকে তাদের বাগান করার জমি দেখার জন্য রংপুরের গংগাচড়ায় আসতে বলে। ১৩ জানুয়ারি শাহাবুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন খুলনা থেকে রংপুরের মর্ডান মোড়ে এসে নামে। এরপর রাতে সেখান থেকে তাদের দুইজনকে মোটরসাইকেলযোগে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার ফুলবাড়ি চওড়াগ্রামের রুহুল আমীনের বাড়িতে নিয়ে যায় অপহরণকরীরা। সেখানে তাদের আটক রেখে তাদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ১৪ জানুয়ারি র্যাব-১৩ বিষয়টি জানতে পেরে গংগাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ফুলবাড়ীর চওড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী মুক্তিপণ আদায় চক্রের সদস্য বাচ্চু চন্দ্র, স্বপন রায় ও খাদিজা বেগমকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় অপহৃত শাহাবুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনকে। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতা আলমবিদিতর ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্য রুহল আমীন পালিয়ে যায়। পরে তার বাড়ি তল্লাশি করে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি দেশীয় পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, তিনটি তরবারি, একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা মুক্তিপণ চক্রের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে অপহৃতদের ছেড়ে দিত বলে র্যাব জানায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।