# মুক্তি দাবি বিভিন্ন সংগঠনের
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা অফিস : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় বলে মহিলা কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন জানান।
এর আগে ওইদিন সকালে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের বাসা থেকে নাশকতার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উত্তরা-পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ হাসান বলেন, ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারপিটসহ দ-বিধির বিভিন্ন ধারায় করা মামলায় তাজমেরী এস এ ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাজমেরী এস এ ইসলামকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠান।
তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, একটি রাজনৈতিক মামলায় তাজমেরী এস এ ইসলামকে তার উত্তরার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাজমেরী এস এ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ছিলেন। তিনি বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলে সক্রিয় ছিলেন।
এদিকে অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে মামলা প্রত্যাহারপূর্বক তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি ও দলপন্থী পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠন।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) পৃথক বিবৃতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী এই দাবি জানান।
ঢাবি সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ড. তাজমেরী এস এ ইসলামের প্রতি সরকারের এ নির্মম আচরণে আমরা শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় তাকে মুক্ত করণে শিক্ষক ও পেশাজীবী সমাজ জোর আন্দোলনে বাধ্য হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।