লাইফস্টাইল ডেস্ক : কোলেস্টেরল হলো এক ধরনের চর্বি। আমরা যখন চর্বিজাতীয় খাবার খাই, তখন আমাদের যকৃতে এই কোলেস্টেরল তৈরি হয় এবং রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে আমাদের দেহের সমস্ত রক্তনালিতে ছড়িয়ে পড়ে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। কিন্তু যদি পরিমাণের থেকে বেশি চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া হয় তবে এই অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধমনির দেয়ালে জমাট বেঁধে প্লাক তৈরি করে এবং রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃৎপিন্ডের নানা ধরনের অসুখ, হার্ট অ্যাটাকসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।
চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের তেল খাওয়া একদমই উচিত নয়। অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও দেখা যায় কম তেলে যেনো রান্না করা সম্ভবই হয়ে ওঠে না, সব খাবারেই তেলের পরিমাণটা যেনো বেশিই হয়ে যায়। তবে কিছু পদ্ধতি মেনে রান্না করলে দেখবেন এ সমস্যা থেকে বের হতে পারবেন সহজেই।
দেখে নিন পদ্ধতিগুলো-
* প্রতিদিনের রান্নায় ননস্টিক কড়াই ব্যবহার করতে পারেন। ভাজা ভাজি জাতীয় সব রান্নাই ননস্টিক কড়াইতে অল্প তেলে সেরে ফেলুন।
* অনেকেরই ধারণা রান্নায় অতিরিক্ত তেল দিলে সে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়, এ ধারণা একদমই সঠিক না। রান্নার আগে সরাসরি বোতল থেকে তেল না ঢেলে চামচে মেপে তেল ব্যবহার করুন। অল্প তেলে ঢেকে রান্না করুন। ডুবো তেলে রান্না না করাই ভালো।
* যারা ডায়েট করেন তারা বেশির ভাগই মুরগি, মাছ বেক করে খান। তেলের ব্যবহার কমাতে মশলা মাখিয়ে মাছ, মাংস বেক করে নিতে পারেন। খুব সামান্য তেলেই বেক করে নিন।
* রান্নার কিছুক্ষণ আগেই রান্নার জন্য রাখা মাছ, মাংসে মশলা মাখিয়ে রাখুন। এতে করে রান্নার স্বাদও বেড়ে যাবে। পাশাপাশি তেলও লাগবে কম। মশলা মাখানোর সময় চাইলে দই ব্যবহার করতে পারেন। দই ব্যবহার করলে রান্নায় খুব বেশি তেলের প্রয়োজন পড়ে না।
* সবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে ভাজার আগে ভাপিয়ে নিন। এতে রান্নার সময়ও বাঁচবে আর তেলও লাগবে কম। এভাবে খেলে বজায় থাকে পুষ্টিগুণও।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।