সাহাবী গাছ মুহম্মদ (সা.) এর সময়ের গাছের অজানা কাহিনী

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ১২:৩১ রাত
আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩, ১২:৩১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছবিতে যে গাছটি দেখা যাচ্ছে তা কোন সাধারণ গাছ নয়। এই গাছটি এখন থেকে প্রায় ১৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক সাহাবী গাছ ! ৫৮২ খ্রিস্টাব্দে মহামানব হযরত মুহাম্মদ (স.) এর বয়স যখন ১২ বছর। তখন তিনি তার চাচা আবু তালিবের সাথে বাণিজ্য করতে মক্কা থেকে শাম দেশ বর্তমান সিরিয়ার উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। যাত্রাপথে তারা সিরিয়ার অদূরে জর্ডান এসে উপস্থিত হন। এই এলাকাটি তখন ছিল শত শত মাইলব্যাপী উত্তপ্ত বালু কণাময় মরুভূমি। চাচার সাথে রাসুল (স.) মরুভুমি পাড়ি দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

তারা একটু বিশ্রামের সন্ধান করছিলেন কিন্তু আশপাশের কোনো গাছ বা ছায়া পাচ্ছিলেন না। তখন তারা কিছু দূরে পাতাবিহীন মৃত প্রায় একটি গাছ দেখতে পেলেন। এই গাছটির নিচে কেউ বসতে পারতো না। কিন্তু কোন উপায় না পেয়ে ক্লান্ত নবীজি ও তার চাচা মৃত প্রায় পাতাহীন গাছটির নীচে বসেন বিশ্রাম নিতে। আল্লাহ তা’য়ালার রহমতে তখুনি সবুজ পাতায় ভরে যায় গাছটি।

আল্লাহ তা’আলার ইশারায় সাহাবী গাছটি নবীজিকে নিরাপদ আশ্রয় দান করেছিল। আজও সেই গাছটি বেঁচে আছে। এই গাছটি “একমাত্র জীবিত সাহাবী গাছ” হিসাবে পরিচিত! এই গাছটির নিচে এর আগে কখনো কেউ বসতেও পারেনি! এই গাছটির অলৌকিকতা মনে করিয়ে দেয় সৃষ্টিকর্তা বলে একজন আছেন। তাঁরই রহমতে বেঁচে আছে গাছটি। কালের পর কাল, যুগের পর যুগ শত শত বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে একটি গাছ। যার নাম সাহাবী গাছ। ইংরেজিতে এই গাছটিকে বলা হয় ঃযব নষবংংবফ ঃৎবব। ভাবা যায় চারদিকে ধু ধু মরুভূমির বুকে দাঁড়িয়ে আছে একটি গাছ? সাহাবী গাছটির আশেপাশে শত বর্গ কিলোমিটার জুড়ে কোন গাছ পালার অস্তিত্ব না থাকলেও এই গাছটি এখনো বেচেঁ আছে।

পৃথিবীতে এত পুরনো কোনো গাছ এখনো বেঁচে আছে তা বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এটি একটি সত্য ঘটনা। অবিশ্বাস্য এই গাছটি আছে জর্ডানের মরুভূমির প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাফাঈ এলাকায়। জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ এই স্থানটিকে পবিত্র স্থান হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং স্থানটিকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করেন। বিশেষ দিনেগুলোতে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে গাছটি দেখার জন্য। সাহাবী গাছটিকে কেন্দ্র করে এখানে আগতরা গাছের নিচে নামাজ আদায় করে থাকেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়