ফিলিপিন্সে এখন মাংসের চেয়েও দামি পেঁয়াজ

প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৭, ২০২৩, ০৬:০৫ বিকাল
আপডেট: জানুয়ারী ২৮, ২০২৩, ১২:১২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

পেঁয়াজ সঙ্কটে পড়া ফিলিপিন্সে এখন রেস্তোরাঁয় রেস্তোরাঁয় নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে লেখা– ‘খাবারের ওপর বেরেস্তা দেওয়া হয় না’।

সরকারি হিসাব বলছে, গত এক মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭০০ পেসো, যা প্রায় ১৩ ডলারের সমান। তার মানে হল, ফিলিপিন্সে এখন এক কেজি পেঁয়াজের দাম মাংসের দামের চেয়েও বেশি। পেঁয়াজের দাম দেশটির দৈনিক ন্যূনতম মজুরিকেও টপকে গেছে।

বিবিসি লিখেছে, গত কিছুদিনে দাম সামান্য কমলেও অনেক ফিলিপিনোর জন্য এখনও পেঁয়াজ কেনা যেন বিলাসিতা।

দেশটির মধ্যাঞ্চলের সেবু শহরের একটি পিজার দোকান চালান রিজালদা মাউনেস। বিবিসিকে তিনি জানান, আগে তার দোকানে দিনে তিন থেকে চার কেজি পেঁয়াজ লাগত। এখন তারা আধা কেজির বেশি কেনেন না, আসলে এর বেশি কেনার সামর্থ্য তাদের নেই।

"আমাদের খদ্দেররাও বিষয়টা বোঝেন, কারণ এটা তো কেবল রেস্তোরাঁর বিষয় না। পেঁয়াজের এই সঙ্কট নিয়ে সব বাসাতেই ভুগতে হচ্ছে।” 

ভারতবর্ষের মত ফিলিপিনো রন্ধনশৈলীতেও পেঁয়াজ একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। সেই পেঁয়াজ এখন দেশটির জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতীক হয়ে উঠেছে। গত মাসে ফিলিপিন্সে মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

আইএনজি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ নিকোলাস মাপা বলেন, কৃষি বিভাগ গত অগাস্ট মাসেই খাদ্য সঙ্কটের পূর্বাভাস দিয়েছিল। এরপর দুটো শক্তিশালী ঝড় পর পর আঘাত হেনেছে ফিলিপিন্সে, যা ফসলের যথেষ্ট ক্ষতি করে গেছে।

"তাছাড়া অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় চাহিদাও বেশ বেড়েছে। ফলে আমরা মূল্যস্ফীতির একটি চক্র দেখতে পাচ্ছি।”
কান্টার ওয়ার্ল্ডপ্যানেল কনসালটেন্সির মেরি-অ্যান লেজোরাইন বলেন, ফিলিপিন্সের মত দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনও একটি বড় হুমকি৷
ক্রতাদের বেশিরভাগের ক্রয়ক্ষমতা তো সীমিত। এখন তাদের কেবল অতি জরুরি জিনিসপত্র কেনার দিকে মনোযোগ দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য ঘাটতি আর দাম যদি আরো বাড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়