দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ঋষিঘাট থেকে বৈদড় পর্যন্ত রাস্তা ৩৭ বছরেরও সংস্কার হয়নি

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ঋষিঘাট হিন্দুপাড়া থেকে বৈদড় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দীর্ঘ ৩৭ বছরেও কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। হয়নি রাস্তা সংস্কারের কাজ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ঋষিঘাট হিন্দুপাড়া পাকা রাস্তা থেকে নেমে বৈদড় গ্রামের মাঝ দিয়ে যাওয়ার সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
কিছু কিছু জায়গায় পানি জমে থাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় বড় ধরণের গাড়ি চলাচল করতে না পারলেও ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা অতিকষ্টে চলাচল করে। মাঝে মাঝে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ চলাচলে ব্যবহৃত গাড়ি কাদায় আটকে আবার কখনো উল্টে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনাও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে তো বটেই, শুকনো মৌসুমেও রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য। রাস্তায় খানাখন্দ ও কাদা জমে থাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে অটোরিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদেরও বিকল্প রুট ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে। আক্ষেপ করে এলাকাবাসী জানান, ১৯৭৭ থেকে ৮৮ সালের মধ্যে কোনো একসময় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে রাস্তাটি তৈরি করে দিয়েছিলেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মতলুবর রহমান ভোলা।
আরও পড়ুনতারপর থেকে রাস্তাটির আর কোনো সংস্কার হয়নি। প্রতিদিন শতশত মানুষ যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। বিশেষ করে বর্ষাকালে শিক্ষার্থীরা হাঁটু কাদা মাড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতায়াত করে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে ইউএনও রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন। রাস্তাটির সলিং এর কাজ করা হবে। যখন রাস্তা সংস্কার বা তৈরির বাজেট আসবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি ভাল রাস্তা শুধু মানুষের যাতায়াতই সহজ করে না, বরং এলাকার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যেই প্রাথমিক জরিপ, প্রকৌশল বিভাগের সাথে সমন্বয় এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এর বাস্তবায়ন দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন