ভিডিও রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে পা হারানো রতনের পরিবারের উপার্জন থমকে গেছে

জুলাই আন্দোলনে পা হারানো রতনের পরিবারের উপার্জন থমকে গেছে। ছবি : দৈনিক করতোয়া

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : গত জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পা হারিয়েছেন বগুড়া সারিয়াকান্দির শফিকুল ইসলাম রতন। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির পা হারানোয় থমকে গেছে তার পরিবারের উপার্জন। কলেজ এবং স্কুল পড়ুয়া দুই মেয়েকে নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তিনি। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য তিনি সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন।

শফিকুল ইসলাম রতন বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার পৌর এলাকার ধাপগ্রামের মৃত ইলিয়াস উদ্দিন আকন্দের ছেলে। নদী ভাঙনের ফলে নিজেদের ভিটেমাটি হারিয়ে পড়াশোনা ছেড়ে পাড়ি জমান ঢাকায়। সেখানে তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার পাঠানো টাকা দিয়েই পরিচালিত হতো তার গ্রামের সংসার।

কিন্তু গত বছরের ১৬ জুলাই সকালে শহীদ আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর সারাদেশে যখন আন্দোলন বেগবান হয়, ঠিক সেদিন বিকেলে মিছিলে যোগ দেন শফিকুল ইসলাম রতন। এদিন বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে গাজীপুর শফিপুর এলাকায় পুলিশের গুলি রতনের ডানপায়ে পেছন থেকে বিদ্ধ হয়ে বের হয়ে যায়। এতে রতন ছিটকে পরে যায়। ফলে তার ডান হাতে লোহার একটি এঙ্গেল ঢুকে যায়।

এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তিনি কোনও চিকিৎসা পাননি। পরে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে সারিয়াকান্দি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ অনুভব করলে তাকে পুনরায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার পায়ে ইনফেকশন হয়। পরে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার ডান পা কেটে ফেলে দেয়া হয়। ফলে পঙ্গু হয়ে যান শফিকুল ইসলাম রতন। তবে ঢাকায় ব্রাক ব্যাংকের সহায়তায় তিনি একটি কৃত্রিম পা পেয়েছেন। রতনের বড় মেয়ে সুস্মিতা আক্তার বগুড়া সৈয়দ আহম্মেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মনোবিজ্ঞান বিষয়ের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।

ছোট মেয়ে মরিয়ম আক্তার সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে পরে। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি পা হারিয়ে উপার্জনে অক্ষম হওয়ায় পড়াশোনা বন্ধের পথে রতনের মেয়েদের। নিজের পরিবারের ভরনপোষণ চালাতে তিনি তার মেয়ের একটি চাকরি দাবি করেন সরকারের কাছে।

রতনের মেয়ে বলেন, একপা হারিয়ে আমার বাবা কোনও উপার্জন করতে পারছেন না। আমাদের পরিবার খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত হচ্ছে। পরিবারের ভরনপোষণ করতে সরকারের সহযোগিতা আমরা একান্তভাবে কামনা করছি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাবেক এপিপি এড. মিজান গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাড়ছে নদীর পানি অতিবৃষ্টিতে আক্রান্ত ১৩শ বিঘা জমির ফসল

রংপুরে ২১টি যানবাহনের ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা

বগুড়া ফুলবাড়ীর শাকিল হত্যা মামলার আসামি রাজু ঢাকায় গ্রেফতার

বগুড়ার সোনাতলায় বিএস কোয়ার্টারগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেই

ফ্যাসিস্টকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না দেওয়াই ‘স্মৃতিতে জুলাই-আগস্ট’ কর্মসূচির অঙ্গীকার -সাবেক এমপি লালু