মদ্যপ অবস্থায় উবার চালককে মারধর
আটকের পর রাতেই ছাড়া পান আলোচিত গায়ক নোবেল

বিনোদন ডেস্ক : বিতর্ক-সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের। কিছুদিন পরপর নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে খবরের শিরোনাম হন এই শিল্পী। এইতো কিছুদিন আগে নারী নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান তিনি। সেই মামলার নিষ্পত্তি হয় অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে বিয়ের মাধ্যমে। রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকায় এক উবার চালককে মারধর করার অভিযোগে কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে আটক করে পুলিশ। ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শনিবার (১৯ জুলাই) মধ্যরাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যায় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ রোমান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্র জানায়, মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় উবার চালকের সঙ্গে মারামারি করেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল। উবার চালক জানান, উবার অ্যাপের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে গন্তব্যস্থল হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় আসেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে চান না। উদ্ভট কথাবার্তা ও গালাগালি করতে থাকেন। এভাবে তারা দুজন তর্কে জড়ালে একপর্যায়ে নোবেল উত্তেজিত হয়ে ড্রাইভার আকবর হোসেনকে মারধর করেন। ঘটনা দেখে উৎসুক জনতা জড়ো হন এবং নোবেল জনতার তোপের মুখে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলে যায় মিরপুর থানা পুলিশ। আটক করা হয় নোবেল, ভাড়ায় চালিত গাড়ি ও ড্রাইভারকে। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ রোমান বলেন, নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। তার বক্তব্য শুনে পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয় । গায়ক নোবেল মদ্যপান ছিলেন কিনা— প্রশ্ন করা হলে ওসি বলেন, আমাদের কাছে সেটা মনে হয়নি। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি উদ্ভট কথাবার্তা ও গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে উবার চালকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান নোবেল। পরে উত্তেজিত হয়ে গাড়ি চালককে মারধর শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুনপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যরাতে মদ্যপান অবস্থায় উবার চালকের সঙ্গে মারামারি করেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল। তিনি প্রাইভেটকার ভাড়া করে হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় আসেন। এ সময় তার সঙ্গে একজন নারীও ছিলেন।
গত ২৪ জুন নারী নির্যাতনের মামলায় জামিন পান নোবেল। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহমুব তাকে জামিনের আদেশ দেন। আদালতে জামিন শুনানিতে তার স্ত্রীর পক্ষ থেকে জামিনের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি না থাকায় তাকে জামিন দেন আদালত। গত ২০ মে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মন্তব্য করুন