হার মানবে না নাদিয়ার ‘নবনী’ (ভিডিও সহ)

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২, ০১:৪০ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২, ০১:৪০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নাদিয়া নায়লা নোশিন ছোট বেলা থেকেই তিনি একজন সংস্কৃতিমনা এবং সৃজনশীল মানুষ। তার নানামুখী প্রতিভা বিকশিত হয়েছে বিচিত্রভাবে। মাধ্যমিক শেষ করেছেন বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। বগুড়া সরকারী আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে এখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন । 

হার মানবে না নাদিয়ার ‘নবনী

অল্প বয়সেই নাদিয়ার নানামুখী সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি শুধু শিল্প অনুরাগীই নন একজন মেধাবী ছাত্রী, বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গার্ল গাইড, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে একজন তালিকাভুক্ত সেরা পাঠক এবং বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে প্রায় অর্ধশত সনদপ্রাপ্ত সেই সাথে একজন সফল উদ্যোক্তা। নাদিয়ার অনলাইন উদ্যোগের নাম ‘নবনী’। যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। হুমায়ূন আহমেদের নবনী জীবনযুদ্ধে হেরে গেছে কিন্তু নাদিয়া এমন এক নবনীকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে কখনও হার মানবেনা। নবনীর ঝুলিতে রয়েছে কাঠের চুড়ি, মালা, বিছা, কানের দুল, চাবির রিং, হিজাব পিন, আংটি।

আরও রয়েছে আয়না, ফটোফ্রেম, হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ী, পাঞ্জাবী, হেড ক্রাউন প্রভৃতি। নাদিয়ার মূল উৎসাহ তার মা, দাদী ও বান্ধবীরা। তিনি তার উদ্যোগকে দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। নাদিয়ার যাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় তিনি বলেন, অনলাইনে কাঠের গহনা কেনার পর তার এব্যাপারে আগ্রহ জন্মে এবং ছবি আঁকার অভ্যাস থাকায় প্রথমে নিজের জন্য কাঠের কিছু গহনা বানান। গহনার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই বেশ সাড়া পান।

পরিচিত জন এবং বন্ধুদের কাছে থেকে বেশ প্রশংসা পান এবং তাদের পরামর্শে ফেসবুকে একটি পেজ চালু করেন এবং সহজ উচ্চারণ ও পছন্দের বইয়ের চরিত্রের অনুকরণে নবনী নাম রাখেন। তিনি চান তার নবনী নারীদের অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং জীবনযুদ্ধে প্রতিকুলতা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে সাফল্য অর্জন করবে।

নতুন উদ্যোক্তাদের তিনি পরামর্শ দেন প্রথমে কেউ সাহায্য না করলেও ভেঙে না পড়ে পথ খুঁজে বের করতে হবে। নতুন কিছু শুরু করতে চাইলে ইউটিউব থেকে পণ্য তৈরির ধারণা নিতে পারেন । তিনি পরামর্শ দেন প্রতিটা নারীরই সাবলম্বী হওয়া জরুরী এবং নিজের পরিচয় তৈরি করা উচিত। ‘নবনী’কে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত করে দিতে তিনি একটি ওয়েব সাইট চালু করেছেন। 

প্রতিবেদন : নাসিবা আমীন, অনুলিখন : সুমাইয়া জ্যোতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়