মাহফুজ-উর রহমান দুলু
সেদিন ২৫শে মার্চ ১৯৭১ সাল, রাত ১১টা। আমরা ৩ জন রনটু, ছোট ভাই নিলু এবং আমি মিলে ঠিক করলাম মাড়োয়ারি পট্টিতে অবস্থিত তৎকালীন সিভিল ডিফেন্স অফিসে গিয়ে সাইরন বাজিয়ে দিতে পারলে অনেক বড় কাজ হবে। যেমনি ভাবা আর তেমনি কাজ দৌড়ে গেলাম সেখানে কিন্তু গিয়ে দেখি দেয়ালের সঙ্গে সাইরনের বক্সটি উপর তালায় বড় একটি তালা দিয়ে বন্ধ করা।
আমরাও ছাড়বার পাত্র ছিলাম না। নিচের তলায় গিয়ে আমি রাস্তা থেকে বড় একটি ইট নিয়ে এসে কয়েক বার চেষ্টা করার পর তালাটি খুলে ফেললাম। তালা খোলার পর এবার আমাদের কাজ ছিল সেই সাইরনটি বাজানো কিন্তু আমরা জানতাম না কি করে বাজাতে হবে। অবশেষে আমরা ঠিক করলাম যে করেই হোক বাজাতেই হবে তাই বক্সটির পাশে থাকা হাতলটি নিচের দিকে নামাতেই সেকি বিকট শব্দে বেজে উঠলো সাইরনটি।
প্রথমে আমরা সবাই বেশ ভয় পেয়েছিলাম পরে মনকে শক্ত রেখে আরও কয়েক বার বাজালাম। তারপর আমরা চলে এলাম আমাদের পাড়াতে, এসে দেখি আমাদের পাড়ার বেশকিছু ছেলে অর্থাৎ বিশু মামা, মোমতাজ সাহেবের ছেলে দুলু এবং আরও কয়েকজন। তারপর ডি, সি অফিসের সামনে গিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দেবার জন্য গাছের গুঁড়ি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করছিলাম।
আমাদের হই হুল্লোড় শুনে মোজাম্মেল হক সাহেবের বড় ছেলে হিটলু এসে আমাদের সাথে যোগ দিলো । হিটলুকে দেখে বিশু মামা ওকে সাথে নিয়ে ওর বাবার বন্দুক এবং কয়েকটি গুলি সংগ্রহ করে চললাম আরও কিছু বন্দুক সংগ্রহ করতে অবশেষে গোপাল বাবুর ছেলে গৌতমের বাড়ি গিয়ে আর একটি বন্দুক পেলাম।
সঙ্গে গৌতমকে নিয়ে এবার আমরা সবাই পায়ে হেঁটে পাশের পাড়া মালতিনগরের দিকে যাবার পথে আমাদের সঙ্গে যোগদিল ছনু ভাই, শহিদ ভাই, কোচ অফিসের ম্যানেজার বদরুল ভাই, পেস্তা ভাইয়ের ছোট ভাই টিটু এবং টিটুর সহপাঠী দোলন।
তারপর সবাই মিলে হেঁটে হেঁটে চলে এলাম বগুড়া পুলিশ লাইনে এবং পরে বনানী হয়ে বাইপাস রোড হয়ে গোহাইল রোডে এসে একটি খালি ট্রাকে চড়ে জজকোর্টের সামনে অবস্থিত কোচ অফিসে গিয়ে সবাই বসলাম সকাল ৬টায়। ওই অফিসের ম্যানেজার বদরুল ভাই আমাদের সবার নাস্তার জন্য কিছু বিস্কিট নেয়ে এলেন। কিন্তু নাস্তা করার সময় কই। খবর পেলাম রংপুর থেকে পাক সেনারা বগুড়া শহরের কাছাকাছি এসে গেছে।
আমরা সবাই ছুটলাম সাতমাথা হয়ে বড়গোলার দিকে এবং কেউ কেউ উঠে পড়লো সেই সময়ের বড় গোলার মোড়ে থাকা ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের ছাদে আবার কেউ কেউ অবস্থান নিলো অন্য বিল্ডিং এর উপরে। সেই ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের ছাদে যারা উঠেছিল তাদের মাঝে ছিল বন্দুক হাতে হিটলু এবং ছনু ভাই, আর বাঁশের তৈরি বল্লম নিয়ে টিটু এবং খালি হাতে ওর বন্ধু দোলন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় যারা ওই ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের ছাদে উঠেছিল তাদের হাতে বন্দুক ছাড়া তেমন কোন ভারী অস্ত্র ছিল না, যা দিয়ে তারা পাক সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে। ওই ছাদের উপরেই শহীদ হয়েছিল টিটু এবং ঝাউতলায় শহীদ হয়েছিল আজাদ ভাই আর বাকি হিটলু, ছনু ভাই এবং দোলনকে তারা ধরে নিয়ে মহিলা কলেজের সামনের সুবিলের পাশের তাদের ঘাঁটিতে নিয়ে নানাভাবে নির্যাতন করে সবাইকে গুলি করে মেরেছিল।
অনেক চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত শহীদ বন্ধুদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শহীদ টিটু এবং শহীদ আজাদ ভাইকে মালতিনগরে দাফন করা হয়েছিল, আল্লাহ্ ওদের বেহেস্ত নসিব করুন আমিন। বগুড়া থানার পুলিশ ভাই এবং বগুড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের সঙ্গে প্রতিরোধ যুদ্ধে ৩০ দিনেও শহরে ঢুকতে না পেরে অবশেষে পাক সেনারা রংপুর ব্যারাকে ফিরতে বাধ্য হয়েছিল।
আজ থেকে ৫১ বৎসর আগে, ১৯৭১ সনের ৭ই মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ডাকে সাড়া দিয়েছিল তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের আপামর বাঙালি জন-সাধারণ। আর সেই ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক'জন বগুড়ার দামাল ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম সেই ২৫শে মার্চের রাতে। আমরা সবে এসএসসি পাস করে আজিজুল হক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। কলেজে ভর্তি হয়েই ছাত্র ইউনিয়ন থেকে কলেজের ছাত্র পরিষদে সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে আমি যোগ দেই।
আমার বন্ধু মাসুদুর রহমান রন্টু ও শফিকুল আলম বিশু দু'জনই বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের। আমরা মোট চার-পাঁচজন মিলে চললাম মাড়োয়ারী পট্টি সিভিল ডিফেন্স অফিসে, কারণ ওখানেই সাইরেনের ব্যবস্থা ছিল। (বর্তমানে বগুড়ার বিএনপি অফিসের পাশে ) ওখানে গিয়ে দেখি সাইরেনের মেসিনটা তালা মারা, তাই পড়ে থাকা একটা ইটের টুকরো দিয়ে তালাটা যখন ভাঙলাম, কিন্তু জানা ছিল না কি করে সাইরেনটা বাজাবো।
পরে সাহস করে সাইরেনের একটা হাতল টানতেই বিকট শব্দে সাইরেনটা বাজতে শুরু করলো। নিশ্চয় বগুড়াবাসিরা সেই ২৫শে মার্চের রাত ১১ টায় সাইরেনের শব্দটা শুনে থাকবেন। এভাবে কয়েকবার বাজিয়ে চলে এলাম ডিসি অফিসের সামনে। মনে আছে সে সময় আমাদের বগুড়ার ডিসি ছিলেন খানে আলম খান সাহেব।
রাত ১২টার দিকে আমরা যখন ডিসি অফিসের সামনে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা বেরিকেড দিচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার আর এক বন্ধু শাহ মোমিনুল হক হিটলু প্রাচির টপকিয়ে আমাদের সাথে যোগ দিলো। আমরা সবাই ওকে বললাম ওর আব্বার বন্দুকটা নিয়ে আসতে। পরে আমরা সবাই মিলে ওর আব্বার কাছে বন্দুক চাইলে, তিনি হিটলুর কাছে বন্দুকটা দিলেন দু'টো গুলি সহ।
এই ভাবে আর একটা বন্দুক যোগাড় করলাম গৌতম-এর বাবার কাছে। মোট দু'টো নিয়ে চললাম মালতীনগর-এর দিকে, আমাদের সাথে এসে যোগদিলো ছুনু, দলোন, শহীদ ভাই, লোদি, হারুন, হাসেম আর পেস্তা ভাইয়ের ছোট ভাই 'টিটু' হাতে বাঁশের তৈরি জেভলিন খেলার বল্লম।
কিছু পরে আমাদের সাথে এসে যোগদিলেন বগুড়া কোচ অফিসের ম্যানেজার সাহেব (নামটা ভুলে গেছি) তিনি আমাদের লিড দিয়ে নিয়ে গেলেন বগুড়া পুলিশ লাইনে, পুলিশ লাইনে যোগাযোগ করার পরে ওরা সব রকমের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এবং মাঠের ভিতরের বাঙ্কারে গুলি দেখান এরপর আমরা বনানী পর্যটন-এর সামনে একটা ট্রাকে উঠে পড়ি এবং শেষে ট্রাকে গোহাইল রোড ধরে শহরের ভিতরে ঢুকে পড়ি।
শহরে প্রবেশের সময় আমাদের হাতে বন্দুক আর লাঠি-সোটা দেখে অনেকে ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। আমরা এ অবস্থা দেখে সবাইকে বললাম, আমরা তোমাদের বন্ধু, ভয় নেই আমরা পাকিস্তানের সৈন্যদের শহরে ঢুকতে না দেয়ার বাবস্থা করছি মাত্র। অবশেষে আমরা বগুড়া কোচ অফিসে এসে পৌছলাম (জজকোর্টের সামনে) তখন সকাল সাড়ে সাতটা হবে।
কোচ অফিসের ম্যানেজার পাশের দোকান থেকে এক প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে আমাদের খেতে দিলেন। আমার বাড়ি জজকোর্টের পাশে, তাই আমি আর আমার ছোট ভাই নিলুকে নিয়ে কিছু একটা খেতে এলাম বাড়িতে। আম্মা তাড়াহুড়া করে খেতে দিলেন, খেতে খেতেই শব্দ শুনলাম গোলাগুলির। কিসের খাওয়া লাফিয়ে চলে এলাম কোচ অফিস, কিন্তু হায়! কাউকে না পেয়ে দৌড় দিলাম সাতমাথার উদ্দেশ্যে, ওখানেও কাউকে পেলাম না। ততক্ষণে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, লাইনের ওপারে পাক-সৈন্যরা গুলি ছুড়ছিলো আর এপার থেকে বগুড়া থানার সাহসি পুলিশও গুলি করছিল।
দুই নম্বর রেল ঘুমটির লাইনের ওপর মালবাহি বগি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করায়, রংপুর থেকে পাক-সৈন্যরা আর এগোতে পারলো না। আমি কোনমতে রাজাবাজার ঘুমটির কাছে গিয়ে দেখলাম আমার কিছু সহপাঠী লাইনের উপর দিয়ে রেলব্রিজ পার হয়ে চেলোপাড়ার দিকে যাচ্ছে আমি ওদের সঙ্গে না গিয়ে ফতেহ আলী বাজারের ভিতর দিয়ে মাড়োয়াড়ী পট্টি এসে পরে গৌতম-এর কাছে শুনলাম, ওরা সবাই বড়গোলায় ইউনাইটেড ব্যাংকের (জনতা ব্যাঙ্কের) ছাদে পজিশন নিয়েছিলো।
দু'টি বন্দুক আর বাঁশের বল্লম দিয়ে কতক্ষণ ! গুলি করে মারলো টিটু আর আনোয়ারুল হক আজাদ ভাইকে এবং হিটলু, দোলন ও মুস্তাফিজুর রহমান ছুনু সহ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে গেল কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস ওরা আর কোনদিন ফিরলো না। সেদিনের সাহসী পুলিশ ভাইদের বীরত্বে ওই দিন বগুড়া শহরে প্রবেশ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হয়েছিল পাক-সেনাদের।
পালিয়ে যাওয়ার সময় পাক-সৈন্যরা ২ নাম্বার ঘুমটির পাশের বেড়াঘরের ভিতরে থাকা গরীব বয় বেয়ারারদের গুলি করে মেরে গেলো এবং ঝাউতলায় ছাদে থাকা আজাদ ভাইকে নিচে থেকে গুলি করে ওকেও মারলো। যাবার পথে বগুড়ার প্রাক্তন মিনিস্টার ফজলুল বারীকে মারতে দ্বিধা করেনি। পিছু হটার সময় কালিতলায় নিজ বাসায় প্রাক্তন মন্ত্রী ফজলুল বারীকে পাকসেনারা গুলি করে মেরে ওর ছেলে ডিনা বারীকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো পরে ওর বাবা পাকিস্তানের মন্ত্রী ছিলেন জেনে উনাকে ছেড়ে দিয়েছিলো।
হিটলু, ছুনু, দোলন ছাড়া আরো কতজনকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলেছে আজও অজানাই থেকে গেছে। তবে এটা সত্য ওরা বীর হয়ে বেঁচে আছে সবার মাঝে এবং চিরদিন বেঁচে থাকবেও সবার মাঝে। আজও আমার একটা কথা মনে আছে, জলেশ্বরীতলা কালিবাড়ীর মোড়ে কিছু ছেলে সংগে করে একটা মরদেহ নিয়ে আসছিল, লাশ দেখে আমাদের টি, এম মুসা পেস্তা ভাই জিজ্ঞেস করেছিল 'কে মরলো রে'? তিনি কি ভেবেছিলেন লাশটি তারই ছোট ভাই টিটুর? পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে নানা স্থানে, নানা ভাবে শহীদ হয়েছেন খোকন, মাসুদ, সাইফুল, চাঁন্দু, আব্দুস সবুর, হান্নান, মান্নান, নূরজাহান, জালাল, আবুল হোসেন, আলতাফ আলী, মুন্টু, চিশতী, বাচ্চু শেখ, টুকু, ফজলু, জালাল সহ আরো নাম না জানা অনেক শহীদ ভাইদের জন্য লাল সালাম।
২৫ শে মার্চে কালো রাত্রিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবার জন্য রংপুর ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানি সৈন্যরা প্রস্তুত হয়েছিল। বগুড়া থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানতে পারলেন যে, একদল পাকিস্তানি সৈন্য রংপুর থেকে রওনা হয়েছে। রাতের মধ্যে শেষ করে দিবে বগুড়ার সমস্ত মানুষকে। হত্যাযজ্ঞের নীল নকসা তৈরি হয়ে গেছে। বাংলাদেশের সব জেলায় একসাথে অপারেশন চালানো হবে।
এ খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত জীপ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। চিৎকার করে আসন্ন বিপদের কথা প্রচার করলেন-‘‘জাগো জাগো বগুড়াবাসি। রংপুর থেকে আর্মি রওনা দিয়েছে। রাস্তায় ব্যারিকেড লাগাও প্রতিরোধ কর। জাগো জাগো’’। বগুড়া শহরের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় জীপ নিয়ে প্রচার করলেন ওসি সাহেব। এর মধ্যে মমতাজ উদ্দিন, হায়দার আলী, এ কে মজিবর রহমান, মোশারফ হোসেন মন্ডল, লাল ভাই, তপন, স্বপন, ডাঃ জাহিদুর রহমানের সাথে দেখা করলেন ওসি সাহেব।
খুলে বলল সমস্ত ঘটনা। আশ্বাস দিল আপনারা প্রতিরোধ করুন, পুলিশও থাকবে। সমস্ত শহরে রাতের অন্ধকার চিরে শ্লোগান ভেসে উঠল বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। সাইরেন বেজে উঠল কালিতলা মসজিদ থেকে রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নিমিষের মধ্যে সমস্ত বগুড়া শহর মিছিলে মিছিলে আর শ্লোগানে কেঁপে উঠল। সবাই মিলে রংপুর রোডে গাছ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করল। পাকিস্তানের আর্মিরা ধীরে ধীরে দানবের মত এগিয়ে আসছে বগুড়া শহরের দিকে।
পাকিস্তানি আর্মিদের জীপগুলো এসে থামলো, দেখলো রাস্তায় বড় বড় গাছের ডাল দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা। পাকিস্তানের সৈন্যরা ব্যারিকেড সরালো এবং মোকামতলার দিকে রওনা হলো। ঠেঙ্গামারার দিকে এসে পাকিস্তানি সৈন্যদের গাড়ির লড়ি থামল। পাকিস্তানি মেজর ইশারা দেয়ার সাথে সাথে সবাই দ্রুত পজিশন নিল। তারপর বলল ফায়ার। প্রথমে বুকে গুলি খেয়ে পাখির মত গাছ থেকে ঢলে পড়ল ঠেঙ্গামারার রিকসা চালক তোতা মিয়া। এই তোতা মিয়া বগুড়ার প্রথম শহীদ।
পাক সেনারা বগুড়া শহরে ঢুকতে না পেরে ফিরবার পথে তৎকালীন প্রাত্তন মন্ত্রী ফজলুল বারী সাহেবকে গুলি করে মারে এবং ওর ছেলে ডিনা বারীকে ধরে নিয়ে যায় এবং পরে তিনি ভাগ্যক্রমে মুক্তি পেয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন।
লেখক : প্রাবন্ধিক
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।