পণ্য রপ্তানি কম

মহামারি কভিডের কারণে গত বছরের মার্চ থেকে পণ্য রপ্তানিতে পতন চলছে। মাঝখানে তিন মাস বাদ দিলে পতনের সেই ধারা অব্যাহত আছে। নতুন পঞ্জিকা বছরেও সুখবর মেলেনি। বছরের প্রথম মাস গেল জানুয়ারিতে রপ্তানি কম হয়েছে ৫ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রপ্তানি কম হয়েছে ১৮ কোটি ডলার। ডলারকে টাকার বিনিময় করলে এক মাসে রপ্তানি কমে যাওয়ার পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ওয়েবসাইটে দেওয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গেল জানুয়ারিতে ৩৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে যার পরিমাণ ছিল ৩৬২ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাতমাসে রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি কম হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ।
মোট ২ হাজার ২৬৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে এ সময়। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ২৯২ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউই প্রধান সমস্যা। রপ্তানি আদেশ বাতিল এবং দেরিতে মূল্য পরিশোধের ঘটনা চলছেই। প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অনেক দেশ আবার লকডাউনে গেছে। কোথাও কোথাও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ওইসব দেশে অনেকে কাজ হারিয়েছেন। তৈরি পোশাকের বাইরে রপ্তানি খাতের উল্লেখযোগ্য পণ্যের মধ্যে চিংড়িসহ হিমায়িত মাছ ও জীবন্ত মাছের রপ্তানি কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ। কৃষি পণ্যের কমেছে ২ শতাংশের বেশি। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি কম হয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, পণ্যের মধ্যে করোনাকালের রপ্তানি বেড়েছে এ তালিকায় রয়েছে পাট ও পাটপণ্য। হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ। বাইসাইকেলের রপ্তানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ।