করোনায় মৃত্যু ২০ লাখ ছাড়াল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত ও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি। সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, বিশ্ব জুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ। বলার অপেক্ষা রাখে না, গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছাড়িয়েছে করোনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এটা পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, যত সময় গড়াচ্ছে ততই মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন দুই কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪১০ জন। মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৪ জনের আক্রান্ত দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় স্থানে ভারত। আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া চতুর্থ, বৃটেন পঞ্চম।
আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, তুরস্ক সপ্তম, ইতালি, অষ্টম, স্পেন নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। এদিকে করোনা ভাইরাসের টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সারা দেশে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম ভ্যাকসিন প্রদানে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মিও কাজ করবে। সর্বোপরি বলতে চাই, শুধু বিশ্বের অন্যান্য দেশেই নয়, বাংলাদেশেও সংক্রমণ ও করোনায় মৃত্যু থেমে নেই। ইতিমধ্যে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে করোনায়। ফলে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে দেশের সংশ্লিষ্টদেরও। ভুলে যাওয়া যাবে না, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, অকারণে ঘোরাফেরা না করা সহ প্রয়োজনীয় সচেতনতা- এ সময়টায় অত্যন্ত জরুরি।