করোনার ভ্যাকসিন

বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বব্যাপী অধীর আগ্রহে করোনার টিকার জন্য অপেক্ষা করছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিশ্বের নানা দেশে করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে আমরা টিকা প্রাপ্তিতে এখনও পিছিয়ে। ইতিপূর্বে অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্যাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। তথ্যমতে, চুক্তি অনুযায়ী ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের মধ্য থেকে জানুয়ারিতে প্রথম ধাপে আসবে ৫০ লাখ ডোজ। এরপর প্রতি ধাপে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে এমন আশাবাদ সামনে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি ‘ভারতের চাহিদা পূরণ না করে ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ’ গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচারে জনমনে হতাশার সঞ্চার হয়। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা এতে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তা থেকে ধারণা করা যায়, টিকা নিয়ে ধোঁয়াশা কেটে যাবে। যথাসময়ে ভ্যাকসিন পেতে হলে বাংলাদেশকে অত্যন্ত বাস্তবমুখী সিদ্ধান্তে উপণীত হতে হবে।
স্মর্তব্য, সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, রপ্তানি শুরুর আগে আগামী দুই মাস তারা ভারতের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতেই জোর দেবে। তেমন ঘটলে বাংলাদেশের টিকা পাওয়া বিলম্বিত হওয়া স্বাভাবিক। সংগত কারণেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের পাশাপাশি বিকল্প কোন উৎপাদনকারীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা যেতে পারে। জানুয়ারির প্রথম দশদিন পার হলো। টিকা এলো না। নতুন বছরের জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন পাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ, তা বাস্তবায়ন দুরুহ হয়ে পড়বে। এ প্রসঙ্গে আমরা বলতে চাই, সংশ্লিষ্টদের সামগ্রিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে এবং যথাসময়ে টিকা প্রাপ্তি ও সুষ্ঠু বন্টনও যেন নিশ্চিত হয় সেই বিষয়টি আমলে নিতে হবে। এটা ঠিক, করোনা প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতার বিষয় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার বিষয় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই।