দশ বছর আগে ডিগ্রি পরীক্ষায়
স্টাফ রিপোর্টার: দশ বছর আগে ডিগ্রি পরীক্ষায় যারা ফেল করেছিলেন তাদের আবারও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। একই সাথে ওই সময় বা নির্দিষ্ট ওই সেশনে স্নাতক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় যে সকল শিক্ষার্থী এক বা একাধিক কোর্সে ফেল করেছে তাদেরও শর্তসাপেক্ষে বিশেষ বিবেচনায় ফরম পূরণের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়র ওয়েবসাইটে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই বিষয়টি জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দশ বছর আগে অর্থাৎ ২০১২-১৪ এবং ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি স্তরে ফেল করা শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ প্রদান করা হবে। ওই সময়ে ফেল করা শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২১ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ২য় বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে এক বা একাধিক কোর্সে ‘এফ’ গ্রেডপ্রাপ্ত (অকৃতকার্য) শিক্ষার্থীরা সর্বমোট ৫ হাজার টাকা ফি প্রদান করে শুধু ২০২১ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ২য় বর্ষ পরীক্ষায় ফরম পূরণের সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে তাদের রেজিস্ট্রেশন নবায়নের কোন প্রয়োজন হবে না। ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের কোন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করতে ব্যর্থ হলে বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হলে কোন অবস্থাতেই পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে না।
এই বিষয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শাজাহান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সরকারের এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা আবারও পড়ালেখার সুযোগ পেলে তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে ভালো করতে পারবে। যারা বেকার রয়েছে তারা এই পরীক্ষার মাধ্যমে যদি পাশ করতে পারে, তবে ভালো কর্মের সুযোগ পাবে। যেহেতু ২০২১ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ২য় বর্ষ পরীক্ষার এখনও বেশ কয়েক মাস দেরি রয়েছে তাই তারা পড়ালেখা করারও সুযোগ পাবে। তিনি আরও বলেন, আগামী রোববার কলেজে এ বিষয়ে নোটিশ জারি করা হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।