অবশেষে প্রত্যাহার করা হলো সেই বিচারককে

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩, ১০:২৯ রাত
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩, ০৯:৪৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করায় শিক্ষাথীদের বিক্ষোভের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিন প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয় সংযুক্ত করা হয়েছে।

আজ (২৩ মার্চ) বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরযুক্ত এক প্রজ্ঞাপনে ওই বিচারকের বদলীর আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বদলি সংক্রান্ত সরকারের প্রস্তাবের সাথে অত্র কোর্ট একমত পোষণ করছে। ওই বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বগুড়া (আদালত নং-৩)কে প্রস্তাবিত কর্মস্থল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকায় সংযুক্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা জজ করা হয়েছে।

বগুড়া সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে বগুড়ার জজ আদালতের ওই বিচারকের মেয়ে পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে থাকে। গত সোমবার আরও চার ছাত্রীর সাথে ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে উল্লেখ করে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এই নিয়ে তার অপর সহপাঠীদের সাথে বাকবিতন্ডা তৈরি হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আরও অভিযোগ করে বলেন, ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মাধ্যমে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে পোস্ট দেয়। এতে সে লিখে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।' ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের ৪ জন সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এই নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে প্রধান শিক্ষাকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। ওই সময় সেই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হুমকি দিয়ে জেল দেওয়ার কথা বলেন। নানারকম আপত্তিকর  কথাও বলেন বলে অভিযোগ। এই সময় দুই অভিভাবকে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইয়ে নেওয়া হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধসহ দিনভর বিক্ষোভ করে। অবশেষে অনেক ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনার পর ওই বিচারকের এই বদলির আদেশ আসে। অপর দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াছমিনের নেত্বত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও ওই স্কুলের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম। 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়