গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার অধিকাংশ পাকা সড়ক এখন কাদামাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। গত চার/পাঁচ মাস ধরে ইটভাটায় মাটি নেওয়া, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রির সময় সড়কে যে মাটি পড়ে সেগুলো বৃষ্টিতে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও সাধারণ মানুষের জন্য।
উপজেলার অধিকাংশ সড়কের চিত্রই এখন এমন। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার প্রায় ১৩টি ইটভাটার মাটি ট্রাকে ট্রাকে পরিবহন করা এবং কৃষি জমি খনন করে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রির ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পিচ্ছিল সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। এদিকে, ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা জনদুর্ভোগকে পাত্তা না দিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তবে কাদায় পরিপূর্ণ রাস্তাগুলোতে দু-একজন শ্রমিককে দেখাযায় কোদাল দিয়ে কাদা মাটি পরিস্কার করতে। তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না, কারণ যত্রতত্র পরিস্কার করার পরপরই পুনরায় মাটি বহন করার ফলে কাদার স্তুপ হয়ে থাকছে। আজ সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হাজিরহাট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা থেকে নছিমন গাড়ি নিয়ে গুরুদাসপুরে এসে কাদা রাস্তায় আটকা পরেছেন চালক রবিউল ইসলাম।
গুরুদাসপুরের পাকা রাস্তাগুলোতে কাদার স্তুপ হয়ে আছে এই বিষয়টি তিনি না জানার কারণে দুর্ভোগে পরতে হয়েছে তাকে। চাঁচকৈড় থেকে কাছিকাটা আসা মোটরসাইকেল চালক নাইম হোসেন বলেন, চাঁচকৈড় বাজার থেকে কাছিকাটার উদ্দেশ্যে রওনা হই নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে। মশিন্দা এলাকায় পৌঁছানোর পর গাড়ি সামনেও নিতে পারি না, পেছনেও নিতে পারি না। যে পরিমাণ পিচ্ছিল কাদা হয়েছে রাস্তায় এ অবস্থায় কোন চালক গাড়ি নিয়ে সুস্থভাবে গন্তব্যে ফিরতে পারবে না।
তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাছিকাটা পর্যন্ত এসেছি। সমস্ত শরীর ও আমার গাড়ি সম্পূর্ণ কাদায় পরিপূর্ণ। তবে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি অসাধু চক্র এই সিন্ডিকেট তৈরি করে পাকা রাস্তাগুলো নষ্ট করছে। দেখার কেউ নেই। এবিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় জানান, অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।