সিলেট প্রতিনিধি: বৃষ্টিহীন প্রকৃতিতে গাছ-গাছালিতে আসা লিচু-আমের মুকুল ঝরে পড়ছিল বাতাসে। বৃষ্টির অভাবে বোরো মৌসুমে কৃষকের শ্রমে-ঘামে ফলানো ফসলে ধরেছিল লালচে রং।
এতদিন প্রখর রোদে বৃষ্টির জন্য ছিল হাহাকার। এবার ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি অন্যরকম চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কৃষকদের কপালে।
চৈত্রের শুরুতেই বুধবার সকালে সিলেটের ওপর দিয়ে বয়ে গেল কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। ঝড়-তুফানের সঙ্গে প্রায় ৩/৫ মিনিট বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিও হয়েছে। এতে করে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
গত কয়েকদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছিল, সিলেট অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়ের শঙ্কা রয়েছে। দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিস সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিম হোসাইন বলেন, ভোর ৪টা ১০ মিনিট থেকে সিলেটে ধমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। ভোর ৬টা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। আর বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ২১ দশমিক ৫ মিলিমিটার।
এছাড়া বাতাসের গতি ২২ নটিক্যাল মাইলের নিচে হলে সেটাকে ধমকা হাওয়া হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে ধমকা হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে অন্তত তিন মিনিট শিলাবৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ধমকা হওয়া ও বজ্রবৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি আম ও লিচুর মুকুল ঝরে পড়ার পাশাপাশি মাঠের ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সিলেটের লামাকাজি তীরবর্তী কৃষক ইন্তাজ আলী ও আব্দুল খালিক বলেন, সুরমার তীরে মিষ্টি কুমড়া, শসা, ও তরমুজ চাষ করেছেন তারা। গত বছরও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজকের শিলাবৃষ্টিতেও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। তাদের মতো আরও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।