গুরুদাসপুরে

ধান চাতালের বিষাক্ত ধোঁয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরিবেশ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩, ০৭:৫৯ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩, ০৭:৫৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: বিভিন্ন ধান চাতালে ধান সিদ্ধ কাজে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত বিষাক্ত জুটের কালো ধোঁয়ায় নাটোরের গুরুদাসপুরের গাড়িষাপাড়া এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই ধান চাতাল মালিকরা এসব ব্যবহার করে আসছেন। এসব ধান চাতালের বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও দূষিত বর্জ্যে এলাকার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এলাকার মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলায় ১৩২টি ধান চাতাল রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশই পৌরসভার মধ্যে আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ৪৪টি ধান চাতালের অবকাঠামো তৈরিতে সরকারি নিয়মনীতির কিছুটা লেস থাকলেও বাকিগুলোতে মানা হয়নি কোন নিয়মনীতি। এমনকি জ্বালানী ধোঁয়া বের হওয়ার উচু চিমনি পযর্ন্তও নেই।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, আগে চাতালে ধান সিদ্ধ হত রাতে। এখন সেটা বিকেলেই চালু হয়। একসময়ে ধান চাতাল মালিকরা ধান সিদ্ধ কাজে ব্যবহার করত কাঠের গুড়া (তুষ)। ফলে তেমন সমস্যা হত না। বর্তমানে খরচ কম হওয়ায় এখন ব্যবহার করছেন বিষাক্ত জুট। ব্যবহারের পর থেকেই নানা সমস্যার সুষ্টি হতে থাকে। শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এটার দুর্গন্ধে চারপাশে থাকা যায় না। রাস্তায় চলাচলে অসুবিধা হয়।

জুটের ব্যবহার করায় কালো ধোঁয়ায় চারদিকের পরিবেশ হয় আছন্ন। এসময় আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় ধেয়ে আসছে কালো মেঘ। এই বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও জুটের দূষিত বর্জ্যে এলাকার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে গাছপালা। বাতাসে অক্সিজেন পরিমাণ কমে বাড়ছে কার্বন ডাই অক্সাইড। এলাকার মানুষ শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ধান চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। কেউ আমাকে কোন অভিযোগও দেয়নি। তবে প্রশাসনের একটি আবেদন পত্র পেয়েছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরই শীতে এসময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগী ভর্তির সংখ্যা বেশি থাকে। তবে এসময়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ইন্ডাট্রিয়াল কালো ধোঁয়ার কারণে এমনটি হতে পারে। ফলে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় জানান, এ বিষয়ে অবগত হওয়া মাত্রই উপজেলার সকল ধান চাতাল মালিকদের জুটের ব্যবহার বন্ধে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ নির্দেশনা মানা না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়