অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে

বগুড়ায় ২৬ জোড়া কপোত-কপোতীকে গণধোলাই

আবাসিক হোটেলে বিক্ষুদ্ধ জনতার আগুন

প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৫, ২০২৩, ০৯:৫৫ রাত
আপডেট: জানুয়ারী ২৬, ২০২৩, ০১:৩৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা একটি আবাসিক হোটেল ঘেরাও করে ১৩ জন কলগার্ল ও আরও ১৩ জন খদ্দেরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। সেইসাথে হোটেলটির কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের উপকন্ঠে ঝোপগাড়ী এলাকায় মহাসড়ক সংলগ্ন যমুনা রিসোর্ট নামে একটি আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে নারী ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এর আগে সদর থানার পুলিশ হোটেলটি অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন কলগার্ল ও নারী ব্যবসায় জড়িত হোটেল ম্যানেজার ও কর্মচারীদের গ্রেফতারও করে। সেইসাথে হোটেলের মেইন গেইটে তালা লাগিয়ে দিয়ে হোটেলটির কার্যক্রম বন্ধ করেও দেয়। কিন্তু তারপরও পিছনের দরজা দিয়ে নারী ব্যবসা চালিয়ে আসছিল এই চক্র। বিষয়টি এলাকাবাসী জেনে আজ (২৫ জানুয়ারি) বুধবার সকাল ৭ টার দিকে ৪-৫শ’ এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ওই হোটেলটি ঘেরাও করে। এরপর অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ২৬ জোড়া কপোত-কপোতীকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দেয়। এরপর তাদের সিএনজি অটোরিক্সাযোগে বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

জনতার রুদ্র মূর্তি দেখে হোটেল মালিক রুপম, ম্যানেজার কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। এরপর এলাকাবাসী হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে হোটেলের তিনটি কক্ষ এর খাট, বালিশ .কাঁথাসহ আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বগুড়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন রাজু ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে এলাকাবাসী হোটেলটির ৩টি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি ১৩ জন কলগার্ল ও আরও ১৩ জন খদ্দেরকে আটক উত্তম মধ্যম দিয়ে হোটেল থেকে বের করে দিয়ে হোটেল বন্ধ করে দেয়। তিনি আরও বলেন, এ সময় হোটেল মালিক রুপম ও ম্যানেজারসহ তার কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মো: নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনার মাস খানেক আগেও পুলিশ কয়েক দফা ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন কপোত-কপোতীকে আটক করে হোটেল বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্ত নারী ব্যবসায়ীরা পিছনে দরজা দিয়ে নারী ব্যবসা করে আসছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। যে কারনে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এক কান্ড ঘটিয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়