বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরলে পাটের আবাদ বৃদ্ধি পেলেও দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট চাষীরা। চাষীদের অভিযোগ গত বছরের তুলনায় এবার পাটের দর অনেকটাই কম। এছাড়াও সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট ঘরে তুলতেও বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
বিরল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এক সময় প্রচুর প্ররিমানে পাটের আবাদ ছিলো। সোঁনালী আশ খ্যাত এই পাটের দিন দিন মূল্য কমে যাওয়ায় কৃষক মুখ ফিরিয়ে নেন এই পাট চাষ থেকে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে পাটের মুল্য ভালো থাকায় আবারও পাটের চাষ বেড়ে যায়।
এবার হঠাৎ পাটের দাম কমে যাওয়ায় আবারও দুঃচিন্তায় পড়েছে এ উপজেলার পাট চাষীরা। বর্তমানে এইসব অঞ্চলের ডোবা ও নদীতে পাট ভিজিয়ে বা জাক দিয়ে আশ ছাড়ানো দৃশ্য চোখে পড়বে সবখানে।
পাট ছাড়িয়ে উচু স্থানে শুকিয়ে হাটে হাটে নিয়ে বিক্রি করছেন কৃষক। গত বছরের তুলনায় এবার পাটের দর ভালো পাচ্ছেন না তারা। গতবছর প্রতিমন পাট বিক্রি করেছেন ৩৪শ থেকে ৩৬শ টাকা, এবার তা বিক্রি হচ্ছে ২২শ থেকে ২৪শ টাকায়। এছাড়াও সময় মত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাটের আশানরুপ রং না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষীরা।
এ ব্যাপারে রূপালী বাংলা জুট মিলস এর সত্বাধিকারী আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ জানান, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারনে বর্তমানে পাটের পন্য রপ্তানীর চাহিদা কমে গেছে। ফলে পাটের দাম কমে গেছে। তার পরেও আমি শ্রমিকদের কথা ভেবে লোকসান হলেও জুট মিল চালিয়ে রেখেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, কৃষকরা পাটের ন্যয্য মূল্য পাওয়ায় আগের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে পাট চাষ। আমরা কৃষকদের পাট চাষ থেকে শুরু করে আশ ছাড়ানো পর্যন্ত বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে চলতি বছর এ উপজেলায় মোট সাড়ে ২হাজার ১০হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৬.৫ হাজার মেট্রিক টন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।