খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রায় মাদরাসার অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলামকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে কয়রা থেকে খুলনায় আসার পথে তাকে আটক করা হয়। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ভুক্তভোগী উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান। এ ঘটনায় তিনি জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে থানায়ও লিখিত অভিযোগ দেন। শুক্রবার র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বজলুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ১৮ জুলাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মাদরাসার নিজ কক্ষে বসে কাজ করছিলেন। এ সময় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম এবং ওই মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মোস্তফা আব্দুল মালেকের নির্দেশে স্থানীয় ইউনুসুর রহমান বাবু, মো. নিয়াজ হোসেনসহ ১৫-২০ জন তাকে জোর করে কক্ষ থেকে বাইরে নিয়ে আসে। এ সময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর মেঝেতে ফেলে মারধর করা হয়। সেখান থেকে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যানে বাহারুল ইসলামের অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানেও তাকে মারধর করা হয়। এতে অধ্যক্ষের কানের পর্দা ফেটে যায়।
চেয়ারম্যান তাকে মাদরাসা থেকে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে দিতে বলেন। বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন প্রথমে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, মাদরাসায় ইউপি চেয়ারম্যানকে সভাপতি না করায় তার নির্দেশে আমাকে মারধর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।