বিয়ের আংটি পরানোর আগেই কবরের যাত্রী হলেন সবুজ

অনলাইন ডেস্ক: আট হাজার টাকায় মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছিল। রাত পোহালেই ঢাকার দোহারে সবুজের জন্য মেয়ে দেখে আংটি পরানোর কথা ছিল। কিন্তু আংটি আর পরানো হলো না। তার আগেই কবরের যাত্রী হলো সবুজ। আজ মঙ্গলবার সকালে কাঁদতে কাঁদতে এ কথাগুলো বলেন সবুজের বড় ভাই ব্যাংকার রেজাউল করিম শামীম। সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর (উ.) ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ফরাজিবাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে হৃদয়বিদারক দৃশ্য। বাবা মোতালেব ও মা খুশিদা বেগম বাকরুদ্ধ। চলছে দাফনের প্রস্তুতি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কামরুল ইসলাম সবুজ ও তার বন্ধু আরিফ, ইব্রাহিম কচুয়ায় একটি জানাজায় অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এ সময় বেঁচে যান চালক ইব্রাহিম।
পুলিশ জানায়, তিন বন্ধু নানাবাড়ি কচুয়া উপজেলার তুলাতলী গ্রামে এক জানাজা অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে মোটরসাইকেলে হাজীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। হাজীগঞ্জ-গৌরীপুর কচুয়া সড়কের ডুমুরিয়া নিলামপাড়া এলাকায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা আহত তিনজনকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক কামরুল ইসলাম সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরিফ ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। গুরুতর আহত ইব্রাহীমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। নিহত সবুজ মোহাম্মদপুর গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে ও আরিফ হোসেন জগন্নাথপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন খোকনের ছেলে। তারা দুজনে হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।