করতোয় ডেস্ক: তারকাবহুল ঢাকার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানের জয় পেয়েছে মোসাদ্দেক সৈকতের দল। ১৮ বল হাতে রেখেই আসরে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তারা।
আসর শুরুর আগে সবচেয়ে ফেবারিট ভাবা হচ্ছিল ঢাকাকে। টাইগার তিন পঞ্চপাণ্ডব মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, তামিম ইকবার এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়াও টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় আন্দ্রে রাসেলও ছিলেন ঢাকা শিবিরে। তবে মাঠে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলাফল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান। হার, হার, জয় এবং হার। চলতি বিপিএলের প্রথম চার ম্যাচে ঢাকার ফলাফল এটি।
১০১ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নামা ঢাকা দ্বিতীয় ওভারেই হাতে বল তুলে নেন ৪০২ দিন পর মাঠে ফেরা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন নড়াইল এক্সপ্রেস। বিপজ্জনক হতে যাওয়া ক্যারিবীয় ব্যাটার সিমন্সকে রুবেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান ম্যাশ।
আউট হওয়ার আগে সিমন্স দুই চারে করেছেন ২১ বলে ১৬ রান। সিমন্সের পর মিথুন আর বিজয় মিলে ভালোই এগোচ্ছিলেন। ফিল্ডারদের নিশ্চিত দুটি ক্যাচ মিসে আরও বাড়ন্ত হয় তাদের ইনিংস। তবে শেষ পর্যন্ত মিথুন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। চিরাচরিত ব্যাটিং খেলে ১৭ বলে করেছেন ১৫ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
তবে আজ দিনটা ছিল এনামুল হক বিজয়ের। ব্যাটিংয়ে অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। করেন ৪৩ বলে ৪৫ রান। তবে দলের জয় থেকে মাত্র দুই রান দূরত্বে থাকতে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। তবে তার আগে মূল্যবান ইনিংস খেলে বলতে গেলে দলকে জয়ের দোড়গোড়ায় নিয়ে যান তিনি।
প্রথম ইনিংসে তারুণ্য নির্ভর সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি তারকাবহুল ঢাকা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে কোনোরকমে একশ করতে পেরেছে মাহমুদউল্লাহরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।