বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনা।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ৫৭নং ওয়ার্ডে টঙ্গীর আরিচপুর মসজিদ রোডের দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান।
ভোটদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, জনগণের ভালোবাসা থেকে আমি বলতে পারি, জয়-পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আমি বিশ্বাস করি, ফয়সালা আসমান থেকে হয়। আল্লাহ যা চান তা জনগণের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।
আজমত উল্লা খান বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে মানুষ ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং একটি সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভোটের যে কোনো ফলাফল অবশ্যই মেনে নেব। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। সবসময় জনগণের অপিনিয়নের প্রতি আমি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আসছি। আজ জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমি সেটা অবশ্যই মেনে নেব। আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম।
সকাল ১০টার পর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। এ সময় তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমও ভোট দেন।
ভোট দেওয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো, সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচনী ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেব। এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে গাজীপুর সিটির ভোট সিসিটিভিতে মনিটরিং করে দুইজনকে আটকের নির্দেশনা দেয় ইসি।
ইসি জানায়, গাজীপুর সিটির ১০৩ নম্বর কেন্দ্রে ভোটদানে প্রভাবিত করায় আবু তাহের নামের একজনকে তিনদিন আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। ঢাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় ইসি। এছাড়া ১০১ নম্বর কেন্দ্রে রিয়াজ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। গোপন কক্ষে প্রবেশ ও ভোটদানে প্রভাবিত করায় তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানায় ইসি।
সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখছি শৃঙ্খলার সঙ্গেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা আছে ও ইসি থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে যাদের পাঠানো হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি তাতে ভালোভাবেই ভোট হচ্ছে বলে জেনেছি। এখনও কোনো খারাপ খবর পাওয়া যায়নি।’
ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ না করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইভিএম যেহেতু একটি মেশিন... তাই মাঝে মাঝে এটা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এটা হতেই পারে। ঝামেলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫-১০ মিনিট পরে আবার সবাই ভোট দিতে পারছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।