ভিডিও মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:২৭ বিকাল

প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়ছে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি

সংগৃহিত,প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়ছে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি

রাবি প্রতিনিধি: প্রাচ্যের ক্যামব্রিজখ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করলেও ক্যাম্পাসজুড়ে দিনদিন বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, কমনরুমের অব্যবস্থা, ওয়াশরুম সংকট ও ফার্মেসির অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। পাশাপাশি নানা অনিয়মে জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র, যা নিয়ে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। বিশাল সংখ্যক এই নারী শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেই কোনো স্থায়ী গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বেশিরভাগ সময় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। ক্যাম্পাসের ভিতরে ফার্মেসি না থাকায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যানিটারি প্যাড কিনতে পারছেন না, তাছাড়া একাডেমিক ভবনেও এর কোনো ব্যবস্থা নেই। হলগুলোতে অপুষ্টিকর খাবার পরিবেশন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, টয়লেটের অব্যবস্থা ও অপরিষ্কার পানির কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষের বর্তমান পরিষেবা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের সম্পর্কে মেডিকেলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি বলেন, নারী-পুরুষ সব শিক্ষার্থীর জন্যই ডাক্তার আছে। প্রেগন্যান্সি বা গাইনির জন্য গতবছর নিয়োগ হয়েছে। উনি আপাতত বিকেলে ডিউটি করছেন। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে চর্মরোগীর সংখ্যা বেশি, তাই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বাড়ানো দরকার। 

রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, মেয়েদের হলগুলোতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী রাখতে ‘লকার সিস্টেম’ চালুর কাজ শুরু হয়েছে এবং হলগুলোর সামনে কমদামে পণ্য দেওয়ার জন্য ‘ফেয়ার ভ্যালু শপ’ আনার পরিকল্পনাও চলছে। নারী শিক্ষার্থী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের সুবিধায় প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও অনেক বিভাগ তা বাস্তবায়ন করেনি। মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে রাকসু, যাতে শিক্ষার্থীরা সংকোচ ছাড়াই সেবা নিতে পারে। শিক্ষার্থীদের আর্থিক চাপ, একাডেমিক চাপ ও আত্মহত্যার ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা, পাবলিক টয়লেট ও ওয়াশরুমের নাজুক অবস্থার উন্নতিতেও রাকসু গুরুত্ব দিয়েছে।

আরও পড়ুন

রাকসুর নারী বিষয়ক সম্পাদক সাইয়েদা হাফসা বলেন, রাবি মেডিকেলে মেয়েদের চিকিৎসার নামমাত্র ব্যবস্থা আছে, কিন্তু কোনো স্থায়ী গাইনি বিশেষজ্ঞ নেই। একজন আছেন, কিন্তু একজন দিয়ে সবার চিকিৎসা সম্ভব না। এজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। রাকসু ও হল সংসদের উদ্যোগে মেডিকেলে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে এবং ভিসি স্যারের কাছেও দাবি জমা দিয়েছি। প্রয়োজনীয় দক্ষ চিকিৎসক বিশেষ করে গাইনি বিশেষজ্ঞ, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ও মহিলা কর্মচারী নিয়োগ এবং অতিরিক্ত কিছু সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। প্রশাসন খুব দ্রুত এ বিষয়ে বসবে বলে জানতে পেরেছি।

এ বিষয়ে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমরা মেয়েদের হলে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক পরিচর্যার জন্য ‘সিক বেড’ চালু করেছি। অন্যান্য হলের প্রভোস্টদেরও এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ মহিলা চিকিৎসক মেডিকেল সেন্টারে যোগ দিয়েছেন। অন্তত আরও একজন যেন থাকে এ বিষয়ে কাজ চলছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়ছে নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ

বগুড়ায় বিএনপি‘র এমপি প্রার্থী মোশারফের অশ্লীল  ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি

সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত

জাতীয় ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ

রাজশাহীতে ছয় বছরে কমেছে ৫ হাজার একর কৃষিজমি