ভিডিও শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৯ রাত

শনিবার নাটোর থেকে শুরু হচ্ছে দেশের স্কুল ফিডিং কার্যক্রম

শনিবার নাটোর থেকে শুরু হচ্ছে দেশের স্কুল ফিডিং কার্যক্রম। প্রতীকী ছবি

নাটোর প্রতিনিধি : শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, মনোযোগ ধরে রাখা এবং পুষ্টি উন্নয়নে সারাদেশের ১৫০ টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহের পাঁচ স্কুল কর্ম দিবসে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। আর এই স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে নাটোর থেকে।

আগামীকাল শনিবার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো: মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক আবু নুর মো: শামসুজ্জামান। 
এদিকে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদকালে দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহের পাঁচ স্কুল কর্ম দিবসে ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমী ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ তথা পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হবে।

এরমধ্যে রোববারে ১২০ গ্রাম ওজনের বনরুটি এবং সিদ্ধ ডিম, সোমবারে বনরুটি এবং ২০০ গ্রাম ইউএইচটি দুধ, মঙ্গলবারে ৭৫ গ্রাম ওজনের ফর্টিফাইড বিস্কুট এবং কলা বা স্থানীয় মৌসুমী ফল, বুধবার এবং বৃহস্পতিবারে বনরুটি এবং সিদ্ধ ডিম প্রদান করা হবে। প্রস্তাবিত খাদ্য তালিকায় মোট এনার্জির ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২ দশমিক ২ শতাংশ, প্রোটিনের ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ফ্যাটের ২১ দশমিক ৭ শতাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

আরও পড়ুন

‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  ফিডিং কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে-বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও গুণগত শিক্ষা অর্জনে সহায়তা করা এবং পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে তাদের পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা।

এরফলে বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হবে এবং ঝরে পড়া কমবে। প্রকল্প পরিচালক আরো জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করার।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শনিবার নাটোর থেকে শুরু হচ্ছে দেশের স্কুল ফিডিং কার্যক্রম

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ২টি ককটেলসদৃশ্য বস্তুসহ জনতার হাতে আটক ১

গাইবান্ধার নতুন জেলা প্রশাসক যোগদানের অগেই বদলি

৫ দফা দাবিতে বগুড়ায় ইসলামী আন্দোলন‘র বিক্ষোভ, সমাবেশ

রংপুরের পীরগাছায় মসজিদের জমির আধাপাকা ধান কেটে বিনষ্ট

বগুড়ায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত