ভিডিও শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৫ বিকাল

নওগাঁর রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর ওপর লক্কর-ঝক্কর বাঁশের সাঁকো

নওগাঁর রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর ওপর লক্কর-ঝক্কর বাঁশের সাঁকো 

এসএম সাইফুল ইসলাম, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম-আন্ধারকোটা নামক স্থানে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করায় রাণীনগর ও আত্রাই দুই উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে যোগ হয়েছে নিবিড় বন্ধন। কিন্তু এই সাঁকোটি পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মেরামতের কোন উদ্যোগ না থাকায় বাঁশের এই নড়বড়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে আত্রাই উপজেলার আন্ধারকোটা গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে এখন নৌকা দিয়ে চলাচল করছে।

ত্রাই উপজেলার বিল বেষ্টিত কালিকাপুর ইউনিয়নের অবহেলিত জনপদের মধ্যে আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউল¬াপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া গ্রামসহ রাণীনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ি, বেতগাড়ী গ্রামের প্রায় ৩ হাজার লোকের বসবাস। এই দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক জরুরি সুযোগ সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

বর্ষাকালে নৌকায় নদী পারাপার হলেও নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তৈরি বাশের সাঁকোই এক মাত্র যোগাযোগের ভরসা হলে ও সেটাও এখন পানির তোড়ে ভেঙে পড়েছে। জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে সীমান্ত ঘেষা ও আত্রাই উপজেলার সদর থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে বুক চিরে বয়ে গেছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী।

বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরের বেশি সময় ধরে বন্যার পানি চারিদিকে থৈ থৈ করে। তখন পারিবারিক প্রয়োজনে যাতায়াতের এক মাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় ভাড়ায় চালিত নৌকা। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই বিলের পানি কমতে থাকায় পানি-কাদায় একাকার হওয়ায় পায়ে হেঁটেই উপজেলার আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউলাপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে জেলা ও উপজেলা সদরে যেতে হয়।

আরও পড়ুন

স্থানীয় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যসামগ্রী সহজভাবে বাজারজাত করতে না পারায় নায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে মোটা অংকের লোকসান হয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই ফরিয়া ও মহাজনদের কাছে চলমান বাজার মূল্যের চেয়ে কমদামে কৃষি পণ্য বিক্রি করতে হয়। এখানে  একটি ব্রিজ নির্মাণের এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি থাকলেও প্রকল্প আসে প্রকল্প যায় এই এলাকাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের কারো যেন মাথা ব্যাথা নাই। অথচ উক্ত স্থানে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে রাণীনগর-অত্রাই উপজেলার ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষের যাতায়াতের জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটবে।

আত্রাইয়ের কালিকাপুর ইউনিয়নের বেশি এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ায় মাঝে মধ্যে শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদীর পশ্চিম তীর দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হলেও বন্যার দাপটে আর নদী ভাঙনের কবলে প্রতি বছরই তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। গ্রামের পাশে পাকা সড়ক না থাকলেও এলাকাবাসী ভাঙ্গাচুড়া কাদা পানি আর মেঠো পথে চলতেই বেশি পছন্দ করে।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানান, ঘোষগ্রাম আন্ধারকোটা নামক স্থানে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর ওপরে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য রাণীনগর এবং আত্রাই প্রকৌশলীর সমন্বয়ে সম্ভবতা যাচাই করে আত্রাই উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে একটি প্রস্তাবনাপত্র পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নওগাঁর রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর ওপর লক্কর-ঝক্কর বাঁশের সাঁকো

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন নুসরাত তাবাসসুম

পেটের চর্বি কমায় আদার রস

ভোট চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান মিথিলার

ধানমন্ডি ৩২ এ মারধরের শিকার সালমা হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে

নবান্ন উৎসবকে আদি নববর্ষ হিসেবে পালন করবে ডাকসু