ভিডিও বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:২১ দুপুর

জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে সংলাপে চায় না গণঅধিকার পরিষদ

জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে সংলাপে চায় না গণঅধিকার পরিষদ, ছবি: সংগৃহীত।

গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নেওয়াদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচন করার সুযোগ চায় না । পাশাপাশি জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা ১৪ দলকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে না ডাকার দাবি জানিয়েছে দলটি। বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেখা করে।

সিইসির সঙ্গে দেখা করার পর রাশেদ খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধনের দোহাই দিয়ে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে ডাকা উচিত হবে না।

বিএনপি বা জামায়াত চাইলে তাদের সঙ্গে জোট করতে চায় জাতীয় পার্টি। বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি মরা দল। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আলোচনায় থাকতে এসব কথা বলছে। গণমাধ্যমকে জাতীয় পার্টির সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ করেন তিনি।

ইসিতে জমা দেওয়া লিখিত আবেদনে গণঅধিকার পরিষদ জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও ফ্যাসিবাদের আস্ফালন বন্ধ হয়নি। গত এক মাস ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, বাসে আগুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, ককটেল বিস্ফোরণ ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গুপ্তহত্যা, প্রার্থীদের গণসংযোগে বোমা বিস্ফোরণসহ নানা অঘটন ঘটানোরও পাঁয়তারা করছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শক্তি ও তার দোসররা।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত তত বাড়বে। এরই অংশ হিসেবে আধিপত্যবাদী শক্তি ও শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০২৪ সালের ডামি-স্বতন্ত্র এমপি কিংবা আওয়ামী লীগের পদপদবিতে থাকা নেতা, দোসর, অর্থ জোগানদাতা এবং ২০২৪ এর ডামি নির্বাচনে সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন করা নয়, বরং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন অরাজকতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের মাধ্যমে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনা।

আরও পড়ুন

আবেদনে আরও বলা হয়, যেহেতু আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, নির্বাচন উপলক্ষ্যে গণসংযোগ করা ইত্যাদিও সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ। সুতরাং গণহত্যার বিচার শেষ হওয়ার আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও কোনো ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই। বরং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সুযোগ পেলে নির্বাচন কমিশনের হাত ধরেই আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত ও পালিয়ে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী প্রচারণার নামে রাজপথে সক্রিয় হয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করার সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে জনরোষে থাকা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণের প্রতিরোধের মুখে পড়লে নির্বাচনের পরিবেশও অশান্ত হয়ে উঠবে। যার দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তাবে।

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে সংলাপে চায় না গণঅধিকার পরিষদ

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ধর্মেন্দ্র 

গুলশানে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

প্রথম ওয়ানডেতে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে পাকিস্তান

একের পর এক কারখানা বন্ধে টালমাটাল অর্থনীতি

ময়মনসিংহে বাবা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার