নারী বিশ্বকাপ থেকে কত টাকা পেল বাংলাদেশ?
স্পোর্টস ডেস্ক : নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আজ পেয়ে যাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে যাওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা এর আগে কখনও শিরোপা জিতেনি। চ্যাম্পিয়ন হলেই মিলবে বড় অঙ্কের টাকা, এমনকি সেটা ২০২৩ সালের পুরুষ আসরের চ্যাম্পিয়নদের চেয়েও বেশি।
আইসিসি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছিল। আট দলের এই আসরে চারগুণ বাড়িয়ে মোট প্রাইজমানি ধরা হয়েছে ১৩.৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৫২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা), যা ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আগের আসরের ৩.৫ মিলিয়ন ডলার (৩৮.৫ কোটি টাকা) থেকে ২৯৭ শতাংশ বেশি। এই প্রাইজমানির পরিমাণ দুই বছর আগে ভারতে অনুষ্ঠিত পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রাইজমানিকেও ছাড়িয়ে গেছে, যা ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার (১১০ কোটি টাকা)।
২০২৩ সালে পুরুষ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা পেয়েছিল ৪ মিলিয়ন ডলার, রানার্সআপরা ২। এবারের নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৪.৪৮ মিলিয়ন ডলার (৪৯.২৮ কোটি টাকা), যা ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার প্রাপ্ত ১.৩২ মিলিয়ন ডলার (১৪.৫২ কোটি টাকা) থেকে ২৩৯ শতাংশ বেশি। রানার্সআপ দল পাবে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার (২৪.৬৪ কোটি টাকা), যা তিন বছর আগে ইংল্যান্ডের পাওয়া ৬ লাখ ডলার (৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা) থেকে ২৭৩ শতাংশ বেশি। দুই সেমিফাইনালে হারা দলের প্রত্যেকেই পাবে ১.১২ মিলিয়ন ডলার (১২.৩২ কোটি টাকা), ২০২২ সালের যা ছিল ৩ লাখ ডলার (৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা)।
আরও পড়ুনপ্রতিটি দল অংশগ্রহণের জন্যই নিশ্চিতভাবে ২.৫ লাখ ডলার পাচ্ছে। প্রতিটি জয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩৪,৩১৪ ডলার তো থাকছেই। গ্রুপ পর্ব শেষে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা দল পাবে ৭ লাখ ডলার করে, আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দল পাচ্ছে ২.৮ লাখ ডলার। এক জয় পাওয়া বাংলাদেশ এবার সপ্তম স্থানে থেকে আসর শেষ করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ২.৫ লাখ ডলার পাচ্ছে অংশগ্রহণ ফি, ২.৮ লাখ ডলার সপ্তম হওয়ায়, আর এক জয়ে ৩৪,৩১৪ ডলার। মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন










