প্রথম কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন শারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। এটি হবে ইতিহাসে কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম সরকারিভাবে ওয়াশিংটন সফর। শনিবার (১ নভেম্বর) দামেস্কে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত টম ব্যারাক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাহরাইনের রাজধানী মানামায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি বিষয়ক সম্মেলন ‘মানামা ডায়ালগ’-এর ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় টম ব্যারাক বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রেসিডেন্ট শারার এই সফরের মাধ্যমে সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী জোটে যোগ দেবে।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সফরটি আগামী ১০ নভেম্বরের দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ সফরকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এছাড়া সিরীয় কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট শারা ওয়াশিংটন সফরে যেতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, এর আগে কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেননি। তবে গত সেপ্টেম্বরে শারা জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে নিউইয়র্ক সফর করেছিলেন।
আরও পড়ুনগত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে শারার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সিরিয়ার অবস্থান পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। আসাদ আমলে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সম্পর্কগুলো পুনরুদ্ধার করাই এসব কূটনৈতিক সফরের মূল উদ্দেশ্য। ব্যারাক আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে ২০১৪ সালে গঠিত আইএসবিরোধী আন্তর্জাতিক জোটে সিরিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা। ওই সময়ে আইএস সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছিল। আমরা চাই, সিরিয়া এই জোটের অংশ হোক, যা দেশটির নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রেসিডেন্ট শারা একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখার নেতৃত্বে ছিলেন। তবে এক দশক আগে তার নেতৃত্বাধীন আসাদবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি আল-কায়েদা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আইএস’র বিরুদ্ধেও সংঘর্ষে জড়ায়। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট সিরিয়ায় আইএস’র শেষ ঘাঁটি দখলমুক্ত করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা সতর্ক করেছে যে, আসাদ সরকারের পতনের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে সিরিয়া ও ইরাকে পুনরায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে আইএস। সূত্র : রয়টার্স
মন্তব্য করুন

_medium_1762098970.jpg)








