যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় তীব্র হামলা অব্যাহত ইসরায়েলের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় তীব্র হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরাইল। হামাসসহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো গাজায় যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে সচেতনভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চুক্তি লঙ্ঘন এবং গণহত্যা পুনরায় শুরু করতে অজুহাত খুঁজছে ইসরাইল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েব এরদোয়ান শুক্রবার ইস্তানবুলে টিআরটি ওয়ার্ল্ড ফোরামে এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষার বিষয়ে ইসরাইলের ভয়াবহ রেকর্ডের কথা সবাই জানে। যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখা, গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহ এবং গাজার পুনর্গঠন পর্যায়ে স্থানান্তর কেবল তখনই সম্ভব হবে, যদি ইসরাইল এসব বিষয় মানতে বাধ্য হয়। এরদোগান বলেন, গাজায় স্কুল, গির্জা, মসজিদ ও হাসপাতালসহ সব স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সেখানে এমন কোনো একটি ভবনও অক্ষত অবস্থায় নেই। তেল আবিবের দাবি, তারা নির্দোষ। কিন্তু এত হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পরও তারা কীভাবে নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে। কেউ গাজা দখলে নেবে না, তুরস্ক তো নয়ই। তিনি আরো বলেন, ইসরাইলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে এবং গাজায় আক্রমণ চালানোর সক্ষমতাও আছে তাদের। যখন-তখন তারা এ হামলা চালাতে পারে। তারপরও তাদের নির্দোষ দাবি হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইসরাইল শুধু বোমা হামলা চালিয়েই মানুষ হত্যা করছে না, ‘অনাহার’কে মরণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন এরদোয়ান। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ‘ক্ষুধা’ ও খাদ্য সংকটকে। তিনি আরো বলেন, মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে কথিত ‘ইসরাইলবিরোধী’ ট্যাগ দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এর জের ধরে ২৭০ ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এসব সাংবাদিক শুধু নিজেরাই শহিদ হননি, শহিদ হয়েছেন তাদের স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবাও।
আরও পড়ুনএদিকে যুদ্ধবিরতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সোমবার তুরস্কের ইস্তানবুলে বৈঠক করবেন বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। শুক্রবার আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। এসময় তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যেসব দেশ প্রতিনিধিত্ব করেছিল, তারাই এবার অংশ নেবে। গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া উপস্থিত ছিল। গত সপ্তাহে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, গাজা উপত্যকায় তুর্কি সেনার উপস্থিতি তারা মানবেন না।
মন্তব্য করুন

_medium_1762098970.jpg)








