রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে একই পরিবারের নিহত ৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় একই পরিবারের চারজনসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এছাড়া বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। রোববার (৫ অক্টোবর) ভোররাতে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া ৫০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৫০০টি ড্রোন দিয়ে এই আক্রমণ চালায়। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, মোট হামলার সংখ্যা ছিল ৫৪৯টি। জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ও দ্রুত প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়ন প্রয়োজন, যাতে এই আকাশ সন্ত্রাস অর্থহীন হয়ে পড়ে। একতরফা আকাশ যুদ্ধবিরতি হলে তবেই প্রকৃত কূটনীতির পথ খুলে যেতে পারে।’
হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভ অঞ্চলে। লাপাইভকা গ্রামে এক পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী কিশোরীও রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন পরিবারের আরেক সদস্য ও দুই প্রতিবেশী। লভিভের আঞ্চলিক প্রশাসক ম্যাকসিম কোজিৎস্কি বলেন, ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর এটাই অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বড় হামলা। শুধু লভিভ এলাকায় ১৬৩টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়। হামলার পর লভিভ শহরে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। শহরের মেয়র আন্দ্রি সাদোভি জানান, সীমান্ত থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরের শহরটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সারারাতজুড়ে হামলা প্রতিরোধে ব্যস্ত ছিল।
আরও পড়ুনরাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় সামরিক ও অবকাঠামোগত লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে তারা। জাপোরিঝিয়া, ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক, চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ, খেরসন, ওডেসা ও কিরোভোহরাদ অঞ্চলেও হামলা হয়েছে। জাপোরিঝিয়ায় হামলায় এক নারীর মৃত্যু ও একাধিক ব্যক্তি আহত হন। সেখানকার গভর্নর ইভান ফেদোরভ জানান, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হানায় ৭৩ হাজারের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন। জরুরি বিদ্যুৎ বিভ্রাট কার্যকর করা হয়েছে চেরনিহিভ ও সুমিতেও।
এদিকে রুশ হামলার সময় পোল্যান্ডের আকাশসীমা রক্ষায় সেখানে যুদ্ধবিমান উড়িয়ে সতর্ক অবস্থান নেয় পোল্যান্ড। ন্যাটোর মিত্রবাহিনীর বিমানও মোতায়েন করা হয়। আকাশ প্রতিরক্ষা ও রাডার সিস্টেমকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পোল্যান্ডের সামরিক কমান্ড।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক









