শরণার্থী শিবিরের ২৫টি ভবন গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের নূর শামস শরণার্থী শিবিরে ২৫টি ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর তৎপরতা দমনের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। ভেঙে ফেলা ভবনগুলোতে প্রায় ১০০টি ফিলিস্তিনি পরিবার বসবাস করত।
বুধবার ভোরে ইসরায়েলি সেনারা বুলডোজার ও ক্রেন ব্যবহার করে ভবনগুলো ধ্বংস করতে শুরু করে। এ সময় ধুলার ঘন মেঘ ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু বাসিন্দাকে দূর থেকে নিজ ঘর ভাঙার দৃশ্য দেখতে দেখা যায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, উত্তর সামারিয়ার নূর শামস এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে। কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল আভি ব্লুথ জরুরি সামরিক প্রয়োজনে ভবনগুলো ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের দাবি, ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি সেনাদের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।
চলতি বছরের শুরুতে নূর শামস, তুলকারেম ও জেনিন শরণার্থী শিবিরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেনাবাহিনীর দাবি, অভিযানের পরও এসব এলাকা থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হচ্ছে।
ডিসেম্বরের শুরুতেই সম্ভাব্য ধ্বংসের আশঙ্কায় বাসিন্দারা ঘরের মালামাল সরিয়ে নেন। অনেকেই জানান, তাদের যাওয়ার মতো কোনো বিকল্প জায়গা নেই। বিশ্লেষকদের মতে, শরণার্থী শিবিরে সামরিক যান চলাচল সহজ করতেই ভবন ভাঙার এই কৌশল নিয়েছে ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার পর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য নূর শামসসহ এসব শরণার্থী শিবির গড়ে ওঠে, যা সময়ের সঙ্গে ঘন জনবসতিতে পরিণত হয়েছে।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/152288