‘শুধু তার সুন্দর হাসিটির জন্য জীবনের প্রথম ভোট বিএনপিকে দিয়েছিলাম’
বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার প্রয়াণ ঘটে।
আপসহীন এই নেত্রীর বিদায়ে সারাদেশে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন বার্তা দিয়ে এই নেত্রীকে স্মরণ করছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া মোটা দাগে পড়েছে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে। শিল্পীদের সোশ্যাল হ্যান্ডেল ভারি হয়েছে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসনকে হারানোর বেদনায়।
জনপ্রিয় অভিনেতা নাসির উদ্দিন খানকেও ছুঁয়েছে শোক। তা প্রকাশের পাশাপাশি এ অভিনেতা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন জীবনের প্রথম ভোট দেওয়ার গল্প। জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার মিষ্টি হাসির জন্য জীবনের প্রথম ভোট তিনি দিয়েছিলেন বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে।
নিজের ফেসবুকে আজ মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে নাসির উদ্দিন লিখেছেন, আমি রাজনীতি অপছন্দ করা একজন অতি সাধারণ ভোটার, তবে রাজনীতি সচেতন।
এরপর লেখেন, ২০২৪ এ ভোট দিতে যাইনি, ‘৮৪০’ এর শুটিংয়ে দেশের বাইরে ছিলাম। ২০১৮ তে ভোট কেন্দ্রে যেতে ইচ্ছে হয়নি।
২০১৪ সালের ভোট দেওয়ার পেছনে গল্প বলেন নাসির। তার কথায়, ২০১৪ তে ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিলাম ভোট দিতে নয়, কেন্দ্র পরিদর্শনে। সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন প্রার্থীকে মার্কা সুন্দর দেখে ভোট দিয়েছিলাম। আমার ধারণা আমাদের কেন্দ্র থেকে তিনি যদি একটি ভোটও পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটি আমার। এর আগের নির্বাচন গুলোতে আওয়ামিলীগ-বিএনপিকে মিলিয়ে-ঝুলিয়ে দিয়েছি।এরপর অভিনেতা বলেন জীবনের প্রথম ভোটের গল্প। নাসির লেখেন, তবে জীবনের প্রথম ভোটটি দিয়েছিলাম ১৯৯১ সালে, বিএনপিকে, তার একমাত্র কারণ বেগম খালেদা জিয়া; শুধু তার সুন্দর হাসিটির জন্যে।
সবশেষে এ অভিনেতা লিখেছেন, বিদায় হে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপনার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসা শেষে ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। সে সময় স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতিও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের শারীরিক জটিলতা এবং মানসিক ধকলের কারণে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।
গত ২৩ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পুনরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে এক মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ ভোরে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন এবং চিরবিদায় নেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নেতৃত্ব দেওয়া খালেদা জিয়া ‘দেশনেত্রী’ হিসেবে জনগণের কাছে সমাদৃত ছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার অটল ভূমিকার কারণে তাকে ‘আপসহীন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/152218