খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে কাঁদছেন বগুড়ার আপামর মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার : তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শুধু দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নন, বগুড়ার আপমর মানুষের মাঝেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা শহরের নবাববাড়ী সড়কে দলীয় কার্যালয়ে ছুটে আসেন নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। এসময় নেতাকর্মীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। নেত্রীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও সবাই কালোব্যাজ ধারণ করেছেন। মঙ্গলবার বাদ জোহর শহরের বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদে বেগম জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে তারা ঘরের বাইরে চলে আসেন। খবরটি নিশ্চিত হতে হোটেল-রেস্তরাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় টেলিভিশনের সামনে দাঁড়ান তারা। এসময় সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ কান্নাকাটি করেন। অনেক নেতাকর্মী বেগম জিয়ার জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে ঢাকায় রওনা দিয়েছেন।

বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তিনি এ আসন থেকে শপথ না নেয়ায় ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে জহুরুল ইসলাম এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রার্থী হন। খালেদা জিয়া ফেনীর আসন রাখায় ২০০৯ সালের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার নির্বাচিত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচন বর্জন করায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেও দলীয় সিদ্ধান্তে শপথ না নেওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২০১৯ সালের ২৪ জুন বগুড়া সদর আসনে উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বগুড়ার অভূতপূর্ণ উন্নয়নকাজ হয়েছে। তার হাতে সম্পন্ন হওয়া উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে ৫০০ শয্যার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আন্তর্জাতিক মানের বগুড়া শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম, বগুড়া সুইমিং পুল, বগুড়া বিমানবন্দর (বিমান বাহিনীর ফ্লাইং স্কুল), বনানী-মাটিডালি সড়ক সম্প্রসারণ, বগুড়া নার্সিং কলেজ, আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাস সংযোগ অন্যতম। এসব উন্নয়নের ফল বগুড়াবাসী ভোগ করছেন।
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/152067