নবীজি (সা.) যে সময় শিশুদের বাইরে রাখতে নিষেধ করেছেন
শিশুরা হলো জান্নাতের ফুল। আমাদের নবীজি (সা.) শিশুদের মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। তিনি (সা.) শিশুদের সব ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
দৃশ্যমান অনেক ক্ষতিকর বস্তু থেকে মানুষ তার শিশুসন্তানদের রক্ষা করে; কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের অদেখা বস্তুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে আরও বেশি নিরাপত্তাবলয়ে রাখতে চান। অদেখা বলতে জিন-শয়তানের উদ্দেশ্য। এদের থেকে নিরাপদ থাকার উপায় অনেক। এর একটি হলো রাতের প্রথম প্রহরে বাচ্চাদের ঘরে রাখা।
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে, বা বলেছেন যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে, তখন তোমরা তোমাদের শিশুদের (ঘরে) আটকে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তাদের ছেড়ে দিতে পারো। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করবে এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না।’ (বোখারি : ৩১২৮)
হাদিসটির ব্যাখায় সিলেটের দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসার নায়বে শায়খুল হাদিস মাওলানা শামছুদ্দীন দুর্লভপুরি কালবেলাকে বলেন, শয়তানের দল রাতের প্রথম প্রহরে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ, দিনের বেলায় তাদের আনাগোনা সীমিত থাকে। আর তাই সূর্যাস্তে সময় তাদের তৎপরতা বেড়ে যায়।
তাই এ মুহূর্তটি আশঙ্কাজনক। শিশুদের ওপর তারা চড়াও হতে পারে। এটি হতে পারে শিশুরা আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ থাকার কারণে অথবা তাদের গায়ে নাপাক লেগে থাকার কারণে।সুতরাং এই শঙ্কা থেকে শিশুদের বাঁচাতে প্রয়োজন রাত শুরু হতেই তাদের ঘরে রাখা। ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে রাখা। কারণ, বদ্ধ দুয়ার শয়তানরা খুলতে পারে না।
শায়খ শামছুদ্দীন আরও বলেন, তবে এই হাদিসের এই নির্দেশনা সতর্কতামূলক। সুতরাং প্রয়োজনবশত এ সময় দোয়া পাঠ করে সতর্কতার সঙ্গে শিশুদের বাইরে নেওয়া যাবে। (ফাতহুল বারি : ১১/৮৭, ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ : ২৬/৩১৭)
পোস্ট লিংক : https://www.dailykaratoa.com/article/152013